ছবি সংগৃহীত

হেয়ার কাটের রকমফের

Shormila.Sindrella
লেখক
প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০১৩, ১৫:৩৪
আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৩, ১৫:৩৪

‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা’। কিন্তু সব মুখে কি আর সব রকমের চুল বিদিশার নিশা হতে পারে? সেজন্যে দরকার উপযুক্ত চুলের উপযুক্ত আকার। কিন্তু একজনকে যে সাজে মানায় আরেকজনকেও কি সেই কাজেই মানাতে পারে? প্রত্যেকের জন্যেই নিজের উপযোগী চুলের কাট রয়েছে। আর সেই উপযোগীতা নির্ভর করে মুখের গড়নের ওপর। অনেক যন্ত্রণা পেরিয়ে চুলে একটি কাট দেবার পর দেখলেন সেটা আপনাকে মোটেও মানাচ্ছে না। তখন আবার চুল বড় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষার চেয়ে আগেই জেনে নিন আপনার মুখের আকার অনুযায়ী কোন হেয়ারকাটটি মানানসই। গোলাকার মুখ গোল মুখের মেয়েদের খুব আঁটসাঁট করে চুল বাঁধলে তাদের মুখখানা আরো ছোট হয়ে যায়। যদি মনে হয় আপনার মুখটি গোলাকার তাহলে এমন কোনো হেয়ার স্টাইল নির্বাচন করবেন না, যাতে পুরো মাথাটি আরও গোলাকার দেখায়। আর চুল কাটার সময় খেয়াল রাখবেন যেন কানের দুই পাশের অংশ একটু চাপা দেখায়। মাথার ওপরের ও সামনের অংশের চুল অপেক্ষাকৃত বড় ও খাড়া রাখতে হবে। আপনি ঝুঁটি বাঁধতে চাইলে পারেন ঝুঁটি যত উঁচুতে করবেন, মুখের গোলাকার ভাবটা ততই কমবে। মুখে লম্বাটে ভাব আসবে । গোল মুখে আপনি পেছন থেকে স্টেপটি ইউ শেপ করে কাটলে সামনের দিকটাও একটু ছোট হয়ে যাবে। এ ছাড়া স্ট্রেট লাইভ করেও কাটতে পারেন চুল। গোল মুখে চিন বা চোয়াল থেকে লেয়ারের কাট দিতে পারেন। পেছনের অংশের চুল চার কোনাভাবে কাটলে দেখতে ভালো লাগবে। এ ছাড়া এ মুখের ধাঁচে অল অভার লেয়ার করলেও দেখতে বেশ লাগবে কিন্তু। ডিম্বাকৃতি আপনার মুখের আকৃতি যদি এমনটা হয় তাহলে সোনায় সোহাগা। কেননা অধিকাংশ হেয়ার স্টাইলই ডিম্বাকৃতি মুখমণ্ডলের সঙ্গে মানিয়ে যায়।

হীরক আকৃতি এটিকে ডায়মন্ড শেপ মুখ বলে। এই মুখের অধিকারীদের গালের হাড় বেশ চওড়া হয়। হেয়ার স্টাইল নেওয়ার সময় কপাল ও থুতনির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এমন চুলের স্টাইল নিতে হবে, যাতে গালের হাড় ছোট দেখায়। কপালের ওপরের চুলগুলো ব্যাংগস করে কেটে রাখলেও বেশ লাগবে দেখতে। আয়তাকার আয়তাকার বা ডিম্বাকার মুখ সাধারণত লম্বাটে ও বড় দেখায়। তাই এমন হেয়ার স্টাইল নির্বাচন করা উচিত, যেন মুখটি যত দূর সম্ভব ছোট দেখানো যায়। লেয়ার হেয়ার কাটিং আয়তাকার মুখের জন্য সবচেয়ে উপযোগী হেয়ার স্টাইল। এ ধরনের চেহারার জন্য চুল কাটানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে। লেয়ার কাট শুরু হতে পারে চোখ বরাবর অথবা চোয়ালের নিচে থেকে। লেয়ারের সঙ্গে ফ্রন্ট স্টেপ যোগ করতে পারেন। পেছনের কাটটি ভি অথবা ইউ শেপে কেটে দেখুন। আনইভেন করে লেয়ার অথবা স্টেপ আকারে কাটলেও চেহারার বেশ কিছুটা অংশ ঢাকা থাকবে। সৌন্দর্য বাড়বে তাহলে। ত্রিভুজাকার মুখমণ্ডলের এই আকৃতিকে হার্ট শেপও বলা যায়। সরু চিবুক আর চওড়া কপাল হলে তাকে ত্রিভুজাকার মুখ বলা হয়। মাথার পেছনের চুল একটু বড় ও ফুলানো থাকলে ভালো হয়। এ ধরনের চেহারায় স্টেপ কাটও ভালো লাগবে। পেছনের দিকের চুলের কাট ভি শেপ করলে ভালো হয়। লম্বাটে মুখে যাদের মুখ লম্বাটে তাদের কানের লতি বরাবর সামনের দিকে ব্যাংগস কাট মানাবে। স্টেপ কাটও চলতে পারে। সামনের ব্যাংগসটুকু আয়রন করে নিলে ভিন্ন লুক আসবে। লম্বাটে মুখে অ্যাংগেল ফ্রেঞ্চও মানায় বেশ। আর ভলিউম কাট তো আছেই। এই কাটে চেহারায় লম্বাটে ভাব কমে আসবে। পেছনের দিকে ভি (তিন কোনা) আকার ছাড়া অন্য যেকোনো হেয়ার কাট ভালো লাগবে। সোজা সাপ্টা চুল লম্বা সোজা চুলে মানিয়ে যায় অনেক কাট। সোজা চুলের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাট হচ্ছে ইমু কাট। এটি বেশি মানানসই হবে কিশোরীদের জন্য। আর বয়স কৈশর পেরোলে লেয়ার ও ভলিউম লেয়ার দিতে পারেন। এবার তাকান আয়নার দিকে। বুঝতে চেষ্টা করুন আপনার মুখের গড়নটি কোন ধরনের। তারপর আপনার মুখ এবং ব্যক্তিত্বেও সাথে যায় এমন একটা হেয়ার কাট নিন। দেখুন সৌন্দর্যে একটা নতুন মাত্রা চলে এসেছে।