
ছবি সংগৃহীত
হাঁপানি সমস্যায় কী খাবেন, কী খাবেন না
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৩:১৪
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৩:১৪
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ১৩:১৪
হাঁপানি বা অ্যাজমা হচ্ছে শ্বাসনালীর প্রদাহজনিত রোগ। হাঁপানি হলে সাধাণরত কাশি, কফ ও শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সাধাণরত ছোট বেলাতেই বোঝা যায় অ্যাজমা আছে কিনা। তবে অনেক সময় বড় হয়েও ধরা পরে। আমাদের দেশে প্রচুর হাঁপানি রোগী আছে এবং প্রতি বছর অনেক রোগী শ্বাস কষ্টে মারা যায়। খাবারের এলার্জির কারণে হাঁপানির প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই হাঁপানি রোগীদের একটু সাবধানে খাওয়া দাওয়া করতে হয়। আসুন জেনে নেয়া যান হাঁপানি রোগীদের কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া অনুচিত।
খাওয়া উচিত যে খাবার গুলো
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবারঃ বিভিন্ন রকমের সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, টুনাতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড আছে। এছাড়াও কিছু উদ্ভিদেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হাঁপানির প্রকোপ কমাতে সহয়তা করে। শাক-সবজিঃ প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি রাখুন খাবার তালিকায়। সবজিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রচুর ভিটামিন যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হাঁপানির ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
খাওয়া উচিত নয় যে খাবার গুলো
শুধু বিশেষ খাবার খাওয়া নয়, হাঁপানির প্রকোপ থেকে বাঁচতে এড়িয়ে চলতে হবে কিছু বিশেষ খাবারও। আসুন জেনে নেই সেগুলো সম্পর্কে। ট্রান্স ফ্যাট ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবারঃ মার্জারিন এবং আরো কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবারে ট্রান্স ফ্যাট ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড পাওয়া গেছে। ট্রান্স ফ্যাট ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড হাঁপানির সমস্যা বাড়ায় এবং হার্টের বিভিন্ন জটিল সমস্যার সৃষ্টি করে। অ্যালার্জিযুক্ত খাবারঃ বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন খাবারে অ্যালার্জি আছে। খাবারে অ্যালার্জির ধরণটা সবার জন্য এক রকম নয়। ডিম, চিংড়িমাছ ও গরুর মাংসে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। তাছাড়াও ইলিশ মাছ, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া,কাজু বাদাম, চীনা বাদাম, সরিষা,চকোলেট, গুড়, মধু, দুধ ও দুধ থেকে তৈরি খাবার ইত্যাদি অ্যালার্জি থাকে কারো কারো। যার যেই খাবারে অ্যালার্জি থাকে তার সেটা এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ হাঁপানি রোগির জন্য অ্যালার্জিযুক্ত খাবার বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবারঃ প্রতিদিন যদি শরীরের চাহিদার চাইতে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করা হয় এবং তা খরচ করা না হয় তাহলে শরীর মেদবহুল হয়ে যায়। স্বাভাবিক ওজনের ব্যক্তিদের তুলনায় স্থূলকায় ব্যক্তিদের হাঁপানির ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই প্রতিদিন শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ক্যালরী গ্রহণ করা উচিত নয়। প্রিজারভেটিভযুক্ত খাবারঃ খাবারকে দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন রকমের প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ খাবারেই প্রিজারভেটিভ হিসেবে সালফাইট ব্যবহৃত হয়। সালফাইট হাঁপানি রোগির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সালফাইট থেকে সালফাইট ডাই অক্সাইড তৈরি হয় যা ফুসফুসে চুলকানীর উদ্রেক করে। বিভিন্ন টিনের খাবার, কৃত্রিম ভাবে শুকানো ফল ও ওয়াইনে প্রচুর পরিমাণে সালফাইট থাকে যা হাঁপানির ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
৪ ঘণ্টা, ১৪ মিনিট আগে
৫ ঘণ্টা, ৩৬ মিনিট আগে
৬ ঘণ্টা, ৩৮ মিনিট আগে
১১ ঘণ্টা, ৩ মিনিট আগে
১১ ঘণ্টা, ৪ মিনিট আগে
১১ ঘণ্টা, ৫ মিনিট আগে
১১ ঘণ্টা, ১১ মিনিট আগে
১৩ ঘণ্টা, ৫৯ মিনিট আগে
ডেইলি স্টার
| ঢাকা মেট্রোপলিটন
১৫ ঘণ্টা, ২১ মিনিট আগে