
ছবি সংগৃহীত
হজরত মুসা [আ.]-এর বংশপরিচয় ও তার জন্মকাহিনি
আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৫, ০৪:০৫
হজরত মুসা আ.-এর বংশপরম্পরা কয়েক পুরুষের মাধ্যমে হজরত ইয়াকুব আ. পর্যন্ত পৌঁছে। মুসা আ.-এর পিতার নাম ছিলো ইমরান এবং মাতার ইউকাবাদ। পিতার বংশপরম্পররা এরূপ—ইমরান বিন কামাত বিন লাওয়া (লেবি) বিন ইয়াকুব আ.। হজরত হারুন আ. হজরত মুসা আ.-এর সহোদর ও বড়ভাই ছিলেন। ইমরানের ঘরে হজরত মুসা আ.-এর জন্ম এমন সময়ে হয়েছিলো যখন ফেরআউন বনি ইসরাইলের সদ্যপ্রসূত বালক শিশুদেরকে হত্যা করে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলেছিলো। এ কারণে মুসা আ.-এর মা ও পরিবারের লোকেরা তাঁর জন্মের পর অত্যন্ত বিচলিত ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলো যে কীভাবে এই শিশুটিকে হত্যাকারীদের দৃষ্টি থেকে রক্ষা করা যায়। এভাবে তিন মাস পর্যন্ত তাঁকে সবার দৃষ্টি থেকে গোপনে রাখা হলো। তাঁর জন্মগ্রহণের সংবাদও কাউকে জানতে দেয়া হলো না। কিন্তু গুপ্তচরদের অনুসন্ধান এবং পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ার কারণে বেশিদিন এই ঘটনা গোপনীয় রাখার ভরসা পাওয়া গেলো না। ফলে তাঁর মায়ের উদ্বেগ ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পেতে থাকলো। এই কঠিন ও করুণ পরিস্থিতিতে অবশেষে আল্লাহ তাআলা সাহায্য করলেন এবং মুসা আ.-এর মায়ের অন্তরে এমন কৌশলের উদ্ভব ঘটিয়ে দিলেন যে, একটি সিন্দুক নির্মাণ করো । সিন্দুকে আলকাতরা ও তেলের পালিশ লাগাও। পানি যেনো ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে। শিশুটিকে সিন্দুকে ভরো এবং তারপর তা নীলনদের স্রোতে ভাসিয়ে দাও। মুসা আ.-এর মাই তা-ই করলেন। তৎক্ষণাৎ তিনি তাঁর বড় কন্যা ও মুসা আ.-এর সহোদরা বোনকে নির্দেশ দিলেন, তিনি যেনো সিন্দুকটির ভেসে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নদের তীরের ওপর দিয়ে হেঁটে যান এবং সিন্দুকটির প্রতি দৃষ্টি রাখেন। তিনি যেনো লক্ষ করেন, কীভাবে আল্লাহ তাআলা মুসা আ.-কে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেন। কেননা, মুসা আ.-এর মাকে আল্লাহপাক এই সুসংবাদ পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, আমি এই শিশুকে তোমারই কোলে ফিরিয়ে দেবো এবং এই শিশুকালের পরিক্রমায় নবী ও রাসুল হবে। সূত্র : কাসাসুল কুরআন, তাফসিরে ইবনে কাসির হাফেজ মাওলানা সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর