ছবি সংগৃহীত

সিআইপি হলেন ৫৪ জন

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০৯:০২
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০৯:০২

প্রতিবছরের মতো এবারো কর্মাশিয়ালি ইমপরট্যান্ট পার্সন বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বদের (সিআইপি) পুরষ্কৃত করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্পমন্ত্রণালয়। এবছর সাতটি ক্যাটাগড়িতে মোট ৫৪ জনকে সিআইপি হিসাবে মনোনীত করছে শিল্পমন্ত্রণালয়। রাজধানী বিয়াম মিলনায়তনে মনোনীত এই সকল সিপিআইদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অতিরিক্ত সম্পদ মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে। আমির হোসেন আমু বলেন, আমার দীর্ঘ রাজনীতি জীবনেরর বড় সফলতা আজ। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, আমার জবীনের স্বপ্ন ছিল দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করা। সেখানে কেমন অবদান রখতে পেরেছি জানি না। তবে যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দিতে পেরে আমি আনন্দিত। শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য বদ্ধ পরিকর। কারণ ব্যবসায়ীরা সুযোগ-সুবিধা না পেলে আমাদের যে স্বপ্ন একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়া ওই স্বপ্ন পরুণ করা যাবে না। তাই আমরা সব সময় ব্যবসায়ীদের পাশে থাকবো। মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে মন্দা অব্যাহত থাকার পরও আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশদেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চান। শিল্প সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লার সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ উদ্দিন ও সিআইপিদের পক্ষে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর দেশের সেরা কয়েকজন ব্যবসায়িকে সিপিআই হিসেবে নির্বাচিত করে। সিপিআই হিবেসে মনোনীতরা সাধারণত বিশেষ পাশ ছাড়াই যে কোনো ধরনের জাতীয় অনুষ্ঠান, বিমানে টিকেট করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার, সরকারি যানবাহনে যাতায়াতের জন্য বিশেষ অগ্রাধিকার মূলক সুবিধা পেয়ে থাকেন। এসব ক্ষেত্রে তারা সাধারণত ভিআইপিদের সমান সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সাতটি ক্যাটাগড়ির মধ্যে পাঁচটিতে যারা মনোনীত হলেন

পদাধিকার বলে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বিসিআই সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বিটিএমএ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন, বিজেএমএ সভাপতি নাজমুল হক, ওয়েব সভাপতি নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মো. সবুর খান, সিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, নাসিব সভাপতি মির্জা নুরুর গণি শোভন ও বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুর ইসলাম। বৃহৎ শিল্প বিআরবি কেবল উন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. পারভেজ রহমান, এসিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলা, বিএসআরএম চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী. জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস ছামাদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, পাহাড়তলী টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা ইস্পাহানি, ইউনিলিভার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার কামরান বকর, বাদশা টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বাদশা মিয়া, মেসার্স ভিয়েলাটেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম রেজাউল হাসনাত, ফারিহা নীট টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম, এসাইআই ফরমুলেশনের এম আনিস উদ-দৌলা, বার্জার পেইন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী হক চৌধুরী, রানার অটোমোবাইলের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, জালাল আহমেদ স্পিনিংয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান, মীর সিরামিক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর নাসির হোসেন, এম আর এস ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামসুর রহমান, মেসার্স ভিয়েল টেক্সের মনোনীত মালিক বেগম কানিজ ফাতেমা জেরিন, সুপার রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আহমেদ, শাহ ফতেউল্লাহ টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ ও আফতাব বহুমুখী ফার্মার চেয়ারম্যান মন্জুরুল ইসলাম। মাঝারী শিল্প অকো টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহান, বা আর বি পলিমারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুর রহমান, ইগলু লিমিটেডের মনোনীত মালিক এ এস এম মঈনুদ্দীন মোনেম, বসুমতি ডিট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেড এম গোলাম নবী, রয়েল গ্রীনের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়াররের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান, আলম সোপ ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফুল আলম, বেলি ইয়ার্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ আজম, মোশারফ স্পিনিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন, উনসন অটো অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খাইরুল আনাম। ক্ষুদ্র শিল্প কিয়াম মেটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.মিজবার রহমান, এফবি ফুটওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়, আর এমএম লেদারের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, অন্বেসা স্টাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউ এম আশেক ও মেসার্স শোভা এন্ট্রারপ্রাইজের স্বত্তাধীকারী সৈয়দ আহম্মদ কিরণ। সেবা শিল্প ঢাকা রিজেন্সী হোটেলের চেয়ারম্যান কবির রেজা, মীর আক্তার হোসেনের মনোনীত পরিচালক মিজ সোহেলা হোসেন, দি সিভিল ইন্জিনিয়ার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলি মো. আতিকুর রহমান, এম এম ইস্পাহানীর চেয়ারম্যান মির্জা আলী বেহরুজ ইস্পাহানী ও বিল্ডিং ফর ফিইচারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভিরুর হক প্রবাল। এছাড়াও মাইক্রো শিল্পে ফুয়াং ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আহমেদ চৌধুরী এবং কুটির শিল্পে পেয়েছেন জননী উইভিং ফ্যাক্টরীর স্বত্তাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম (পরান)।