সকালের ঘুম ভাঙতেই চোখে পড়ে ক্ষুদেবার্তার নোটিফিকেশন, ইনস্টাগ্রামের স্টোরি কিংবা ফেসবুকের নতুন পোস্ট। বাস, ট্রেন, ক্লাসরুম এমনকি খাবার টেবিলেও এখন হাতের ফোনটাই সবচেয়ে আপন। পর্দার ঝলমলে আলো আমাদের মনকে যতটা আনন্দ দেয়, ঠিক ততটাই নিঃশব্দে কেড়ে নিচ্ছে প্রশান্তি।
প্রযুক্তির এই অতিনির্ভরতা দিনে দিনে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে নীরবে বিপর্যস্ত করে তুলছে। কাজের চাপ, সামাজিক প্রত্যাশা আর সোশ্যাল মিডিয়ার কৃত্রিম জীবন আমাদের এক অনির্বচনীয় মানসিক প্রতিযোগিতায় ফেলে দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ৮ জনের মধ্যে ১ জন মানুষ মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন, যার একটি বড় অংশ তরুণ প্রজন্ম। ২০১৯ সালে জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, দিনে ৭ ঘণ্টার বেশি স্ক্রিন ব্যবহারের সঙ্গে বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
টরন্টো ইউনিভার্সিটির ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট ড. লরা ম্যাকনাইট বলছেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাত্রা যখন পারসোনাল টাইম, ঘুম, সম্পর্ক কিংবা নিজের প্রতি যত্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়; তখন সেটিই হয়ে যায় মানসিক চাপের মূল উৎস।