
ছবি সংগৃহীত
সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত কী?
আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ০৭:০৩
মানুষকে অসংখ্য-অগণিত নেয়ামত দান করেছেন আল্লাহ তায়ালা। পৃথিবীর সব পানিকে যদি কালি বানানো হয় এবং গোটা জমিনকে ও সব গাছের পাতাকে যদি কাগজ বানানো হয়, তবু লিখে শেষ করা যাবে না আল্লাহ তায়ালার দেয়া নেয়ামতের কথা। প্রতিটি মানুষের জীবনের শুরু থেকে শেষ, দিনের সূচনা থেকে অন্ত আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত আর কৃপা ছাড়া এক সেকেন্ড বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই আমাদের। অসংখ্য-অগণিত নেয়ামতের মাঝে মানুষকে ইমান প্রদান করা সবচেয়ে বড় ও সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত। মানুষকে ইমানের নেয়ামত দান করে ধন্য করেছেন আল্লাহ তায়ালা। ইমান একটি শক্তি, মানবিক শক্তি। ইমান হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে বান্দার একটি চুক্তি। কোনোভাবেই এ চুক্তির খেলাফ করা যাবে না। ইমান কী? ইমান হলো আল্লাহ মহানকে এক ও অদ্বিতীয় জেনে তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা এবং তাঁর প্রেরিত রাসুলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। ইমানের কিছু দাবি রয়েছে, সেগুলো হলো আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করা যাবে না, অন্য কারো কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা যাবে না, তিনি ছাড়া কারো কাছে নত হওয়া যাবে না, আল্লাহ মহানকেই একমাত্র স্রষ্টাজ্ঞান করতে হবে এবং জীবনের প্রতিটি বিষয় ও ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের চূড়ান্ত আনুগত্য করেতে হবে। মূল কথা হলো, একমাত্র আল্লাহ মহানকেই চূড়ান্তভাবে ভালোবাসতে হবে এবং পরিপূর্ণভাবে একমাত্র তাঁরই আনুগত্য করতে হবে। হজরত মুসা [আ.] একবার আল্লাহ মহানের কাছে তাকে একটি আলাদা কলেমা শিক্ষা দেয়ার আরজ করেছিলেন, যার দ্বারা তিনি আল্লাহকে ডাকবেন। আল্লাহ বললেন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলো, হে মুসা। হজরত মুসা বললেন, এটা তো সবাই জানে, হে আমার প্রভু। আল্লাহ মহান বললেন, হে মুসা! আসমান আর জমিন এক পাল্লায় আর অন্য পাল্লায় এই কলেমা রাখা হলে কালিমার পাল্লাই ভারী হবে। এ কলেমার গুরুত্ব ও তাৎপর্য এতটাই বেশি। আল্লাহ মহানের কথা শুনে নিজের ভুল বুঝলেন হজরত মুসা এবং গ্রহণ করে নিলেন আল্লাহপ্রদত্ত কলেমাকে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইমানের মূল দাবি উপলব্ধি করে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করার তাওফিক দান করুন। আমিন। মাওলানা মিরাজ রহমান