
ছবি সংগৃহীত
মানসিকভাবে শান্তিতে থাকার ৫টি উপায়
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০১৩, ১৭:৫৬
আপডেট: ০৯ মে ২০১৩, ১৭:৫৬
আপডেট: ০৯ মে ২০১৩, ১৭:৫৬
অদ্ভুত আমাদের এই জীবন। বর্ণিল, রহস্যময়, বিচিত্র। আবার কখনও ভীষণ অস্থির আর এলোমেলো। এবং সত্যি বলতে কি এই অস্থির আর এলোমেলো সময়টাই সম্ভবত জীবনে সবচাইতে কঠিন। অশান্ত একটা মন নিয়ে থাকা কারো কাম্য নয়, জীবনে কেউ চান না অশান্তির উপস্থিতি। তবু কিভাবে কিভাবে যেন হয়েই যায়। তাই না? আসুন, আজ জেনে নেয়া যাক এমন কিছু উপায় যার কারণে মানসিক অশান্তিকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবেন অনেকটাই।
সম্পর্ক গুলোকে রাখুন সুন্দর
জীবন কি? কেবল কাজ, টাকা, নাম কামানো? একদমই কিন্তু না! জীবন মানে সম্পর্ক, আপনজন, কাছের মানুষ। আর তাদের সাথে মিলেমিশে জড়িয়ে থাকা। যদি একলাই কাটাতে হয় জীবন, তাহলে দেখবেন অর্থ- বিত্ত- সুনাম কিছুরই কোনও মূল্য থাকবে না। আর তাই, নিজের সম্পর্ক গুলো যত্ন করুন। কেবল রক্তের সম্পর্ক নয়, আত্মার বন্ধনগুলোকেও আগলে রাখুন। সম্পর্ক হচ্ছে একটা ছোট গাছের মতন। যত আপনি তাকে যত্ন করবেন, ততই সে ডালপালা বিস্তার করে দৃঢ়ভাবে বেড়ে উঠবে ক্রমশ।অনধিকার চর্চা এড়িয়ে চলুন
এই পৃথিবীতে সবারই একটি ব্যক্তিগত দুনিয়া আছে। আপনার জীবনসঙ্গীর যেমন আছে, তেমনি আছে আপনার মা-বাবা, বন্ধু সবারই। এই একান্ত পৃথিবীতে কখনও হস্তক্ষেপ করতে যাবেন না। এতে লাভ কিছু হয় না, কেবল অশান্তি বাড়ে জীবনে। গীবত করা, বদনাম করা, আগ বাড়িয়ে ঝগড়া করতে যাওয়া ইত্যাদি সব কিছুই অনধিকার চর্চা। পরচর্চা এড়িয়ে চলবেন, ফল শ্রুতিতে শান্তিতে থাকতে পারবেন নিজে।“পৃথিবীর সব দায় আপনার”- এমন ভাবা বাদ দিন
অনেক বড় এই পৃথিবী, আর পৃথিবী ভরা আছেন বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ। তাহলে সব দায় আপনার একলার কেন হবে? অনেক সময়েই আমরা নিজের দায়িত্বের চাইতে বেশি দায়িত্ব নিয়ে ফেলি, আবার অনেক সময় আমাদের ওপরে তা চাপিয়ে দেয়া হয়। কখনও বাড়তি কর্তব্য, কখনও অহেতুক দোষারোপ। কিন্তু ব্যাপার যাই হোক না কেন, সেটা কিন্তু আপনাকে ভীষণভাবে বিপর্যস্ত করে ফেলে। জীবন থাকলে এই সমস্যা থাকবেই। বাড়তি কর্তব্য বা দোষারোপ এসে চেপে বসবেই ঘাড়ের ওপরে। কিন্তু ব্যাপারটা যেন আপনার মনের ওপর চাপ না ফেলতে পারে, সবসময় সেই চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন, পৃথিবীর সব দায় আপনার নয়। আপনি নিজের ভাগের দায়টুকুন পালন করছেন কি করছেন না, সেটাই সব চাইতে বড় কথা।ক্ষমা করুন ও ক্ষমা চান
চলার পথে ভুল আমরা করেই ফেলি। কখনও ইচ্ছা করে, কখনও ঝোঁকের মাথায়, কখনও ভুল করেই ভুল হয়ে যায়। কিন্তু অন্যায় বা ভুল যাই বলুন না কেন, সেটা হয়েই যায়। ফলশ্রুতিতে সম্পর্কগুলো আঘাত পায়। ভুল বা অন্যায় হতেই পারে, যদি সেটা অনুভব করতে পারেন তো সাথে সাথে ক্ষমা চেয়ে নিন। এই ক্ষমা আপনার ভুলকে তো আর শুদ্ধ করে দেবে না, কিন্তু সম্পর্ক গুলোকে রক্ষা করবে অনেক ক্ষেত্রেই। ঠিক একই ভাবে অন্য কেউ ক্ষমা চাইলে তাকেও ক্ষমা করে দিন। এমনকি কেউ না চাইলেও ক্ষমা করে দিন অন্তর থেকে। তাতে আপনি ছোট হয়ে যাবেন না, কিন্তু শান্তি অটুট থাকবে মনের মাঝে।মনে রাখুন- জীবনটা কিন্তু ভীষণ ছোট
একবার ভাবুন তো... এই যে বেঁচে থাকার এত আয়োজন, কেন এসব? অবশ্যই ভালো থাকার জন্য। যদি জীবনের জন্যই এত আয়োজন হয়, আর মৃত্যুটা যে নিশ্চিত পরিণতি সেটাও আমরা সবাই জানি- তাহলে কেন এই ঝগড়াঝাঁটি, হিংসা, মারামারি? কি হবে এসব করে? না মাটির পৃথিবীতে কোনও লাভ হবে, আর না মৃত্যুর পর। যদি মনে রাখতে পারেন যে জীবনটা অনেক ছোট, তাহলে দেখবেন এমন অনেক মানবিক ক্ষুদ্রতাই আপনাকে স্পর্শ করতে পারছে না। আর এইসব ক্ষুদ্রতা যদি স্পর্শ করতে না পারে, অশান্তিও থাকবে আপনার থেকে সহস্র হাত দূরে। সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই... ভালো থাকুন, ভালোবাসুন। ভালোবাসা সেই প্রচণ্ড শক্তিধর অস্ত্র, যা আপনাকে রক্ষা করতে পারে জীবনের সকল অশান্তি থেকে। ভালোবাসুন জীবনকে, জীবনও আপনাকে ভালোবাসবে।- ট্যাগ:
- লাইফ
- জীবন চর্চা
প্রথম আলো
| চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার
১ ঘণ্টা, ২৩ মিনিট আগে
ঢাকা পোষ্ট
| শ্রীনগর
১ ঘণ্টা, ৫৪ মিনিট আগে
১২ ঘণ্টা, ১২ মিনিট আগে
১২ ঘণ্টা, ২৪ মিনিট আগে
১৭ ঘণ্টা, ৩৭ মিনিট আগে
১৭ ঘণ্টা, ৩৯ মিনিট আগে
২১ ঘণ্টা, ২৫ মিনিট আগে
২১ ঘণ্টা, ৩৭ মিনিট আগে
২১ ঘণ্টা, ৫৮ মিনিট আগে