
ছবি সংগৃহীত
ভালো উপস্থাপক হতে
আপডেট: ০৭ মে ২০১৩, ১৭:০৬
অনেকের ক্ষেত্রে উপস্থাপনা করতে গেলে নার্ভাস হয়ে যাওয়া অথবা ভয় পাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। আর এই ভয় কাটানোর জন্য অনেকে অনেক কিছু করেন। একটু সতর্ক হলে এই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব। উপস্থাপক হিসেবে সফল হতে হলে প্রয়োজন সঠিক প্রস্তুতি। আর এই প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন এখন থেকেই। একটু একটু করে প্রস্তুতি নিলে আগামীতে হয়তো আপনি হবেন একজন সফল উপস্থাপক। একাগ্রচিত্তে চর্চা বা অনুশীলন আপনার ব্যক্তিগত যোগ্যতাকে উন্নত করবে। অনেকে আবার আরও একধাপ এগিয়ে উপস্থাপনার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে শুদ্ধ উচ্চারণ এর কর্মশালা করেন। এতে উপস্থাপনার আরও সুন্দর হয়। উপস্থাপনার জন্য প্রস্তুতি- ১. বিষয়বস্তু সম্বন্ধে ধারনা: কোন বিষয় সম্বন্ধে ধারনা না থাকলে উপস্থাপনা করা খুবই কঠিন হয়ে পরে। যে বিষয়ে উপস্থাপনা করতে হবে সে বিষয়ের দরকারি সব তথ্যই সংগ্রহ করতে হবে। আরোহিত জ্ঞান যদি ১০০ ভাগ হয় তাহলে তার থেকে হয়তো ২০-৩০ ভাগ উপস্থাপন করতে হবে। কম তথ্য আরোহণ করলে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে হয়তো প্রয়োজনীয় তথ্যটি সরবরাহ করা যাবেনা। ফলে উপস্থাপনা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। ২. বলা বা বক্তব্য উপস্থাপন: বিষয়বস্তু সম্বন্ধে ধারনাতো তৈরি হল। এবার কাজটি হল তা দর্শক শ্রোতার সামনে যথাযথ ভাবে উপস্থাপন করা। এই কাজটি সুচারুরূপে করতে পারলে উপস্থাপনা অনেক অংশে সার্থক হবে। মনে রাখতে হবে বক্তব্য কোনক্রমেই যেন বিষয়ের বাইরে না চলে যায়। আর যা বলা হবে তা যেন শ্রোতার কাছে বোধগম্য হয়। কোন ক্রমেই যেন তা শ্রোতার বিরক্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। বলা বা উপস্থাপনের জন্য কয়েকটি বিষয় আয়ত্তে আনা জরুরী: ক. শুদ্ধ উচ্চারণ খ. উচ্চারণে স্পষ্টতা গ. কণ্ঠস্বরের স্তর নির্ণয় ঘ. স্বরের ওঠানামা ঙ. আবেগ চ. ছন্দ ছ. গতি ৩. অঙ্গভঙ্গি: উপস্থাপনার ক্ষেত্রে অঙ্গভঙ্গি ২০-৩০ ভাগ ভূমিকা রাখে। সঠিক বক্তব্যের সাথে সঠিক অঙ্গভঙ্গি উপস্থাপনার একটি অংশ। ৪.উপস্থিত জ্ঞান: উপস্থাপনার ক্ষেত্রে উপস্থিত জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপস্থিত জ্ঞান দ্বারা উপস্থাপনার সময় ঘটে যাওয়া যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সহজেই এড়ানো যায়। ধরা যাক, কারো উপর একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি দেখলেন অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী যার পারফর্ম করার কথা তিনি আসতে দেরি করছেন। তখন উপস্থাপক কে উপস্থিত জ্ঞান দ্বারা তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ৫. সাধারণ জ্ঞান: সাধারণ জ্ঞান নামে সাধারণ হলেও কার্যক্ষেত্রে তা অসাধারণ। জীবনের প্রতিটি মূহুর্তে এর প্রয়োজনীয়তা লক্ষণীয়। সাধারণ জ্ঞানের কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। সাধারণ জ্ঞান যে কোন বিষয়ের হতে পারে। এর জন্য নিয়মিত চর্চা করে সাধারণ জ্ঞানের ভাণ্ডার বৃদ্ধি করতে হবে। রাতারাতি সাধারণ জ্ঞানের ভাণ্ডার বৃদ্ধির কোন উপায় নেই। এর জন্য দরকার কঠোর অধ্যবসায়।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- জীবন চর্চা
- টিপস