.jpg)
ছবি সংগৃহীত
ভালোবাসা দিবসের উপহার: ১০টি সেরা রোমান্টিক হলিউড সিনেমা
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, ০৬:৪০
ছবি: সংগৃহীত
(প্রিয়.কম) আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বাস্তব জীবনের ভালোবাসার মুহূর্তগুলোকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে সিনেমার জন্ম। কিন্তু হলিউড সিনেমা মানেই যেন মারদাঙ্গা অ্যাকশন সিনেমা! সেই ধারণা পালটে দিতে লিখছি আজকের প্রতিবেদন।
অ্যাকশনের পাশাপাশি কোমল রোমান্টিক অনেক ছবি আছে যেগুলো কিছু আমরা দেখেছি আগেও। যেমন টাইটানিক, রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট প্রভৃতি। তেমন আরো বেশ কিছু প্রেমের সিনেমা আছে। তার মধ্যে সেরা ১০টি রোমান্টিক সিনেমা সম্পর্কে জেনে নিই আজকের প্রতিবেদনে।
এ ওয়াক টু রিমেম্বার
ছবিটিতে দুজন সদ্য প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ের ঘটনা নিয়ে সিনেমাটির গল্প। যেখানে দেখানো হয়েছে ছেলেটি ভুল করে শাস্তি পাচ্ছে। সেই শাস্তির মাধ্যমেই জীবনকে অন্যরকমভাবে দেখতে শিখছে সে। এরপর আস্তে আস্তে প্রেমে পড়া। তারপর কিভাবে জীবন তাকে প্রাপ্ত মনস্ক হতে সাহায্য করছে তার ছবিই দেখানো হয়েছে সিনেমাটিতে। দুজনের অদ্ভুত কেমিস্ট্রি ফুটে উটেছে ছবিটির মধ্যে।
পি.এস. আই লাভ ইউ
এটি একটি আমেরিকান মর্মভেদী রোমান্টিক ড্রামা সিনেমা। যেখানে একজন বিধবা মহিলার গল্প দেখানো হয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর জীবন তাকে দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েছে। যেখানে তার মৃত স্বামীর লিখে যাওয়া চিঠিই তার পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছে। এই ছবি সত্যিই মন ছুঁয়ে যাবে আপনার।
দ্য নোটবুক
আমেরিকান রোমান্টিক ড্রামা ‘দ্য নোটবুক’। নিকোলাস পার্ক্সের উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বানানো হয় সিনেমাটি। একটি গরীব ছেলের একজন ধনী পরিবারের মেয়ের প্রেমে পড়ার গল্পের থেকেও আরও বেশি কিছু আছে এর গল্পে। বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রীর ভুলে যাওয়া প্রেমকে এবারও মনে করিয়ে দেওয়ার গল্প তুলে ধরা হয়েছে ছবিটিতে।
দ্য লাস্ট সং
টিনেজ লাইফের প্রেম তুলে ধরা হয়েছে ছবিটিতে। বাবা-মায়ের মধ্যেকার দূরত্ব, তার প্রভাব কিভাবে ছেলে মেয়ের মনের ওপরে পড়ে তার ছবিও দেখানো হয়েছে সিনেমাটিতে। এছাড়া ছবিটির অসাধারণ গান এবং টিনেজ বয়সের প্রেম সব কিছু মিলিয়ে সিনেমাটি একেবারে অনবদ্য।
ফাইভ হান্ড্রেড ডেস অফ সামার
এটি একটি রোমান্টিক কমেডি সিনেমা। ছবিটিতে আধুনিক প্রেমকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যেখানে প্রেম, ডেটিং এবং হৃদয় ভেঙে যাওয়ার গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছবিটির ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং গল্প বলার ধরণ সব কিছুই খুব অসাধারণ।
কাসাব্ল্যাঙ্কা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। জার্মানদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ইউরোপীয়দের অনেক শরণার্থীই আশ্রয় খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে কাসাব্ল্যাঙ্কায়, সেখানে মিলতে পারে এক্সিট ভিসা, যা মোটেও সহজলভ্য নয়। কাসাব্ল্যাঙ্কায় জনপ্রিয় ক্যাফে চালায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত রিক ব্লেইন। ঘটনাক্রমে ট্রানজিটের দুটো কাগজ পায় ব্লেইন। এই শহরেই সে আবিষ্কার করে সাবেক প্রেমিকা ইলসাকে। ইলসার স্বামী লাজলো চেকোস্লোভাকিয়ার বিদ্রোহী নেতা, জার্মানরা যাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। ইলসা জানে, কেবল ব্লেইনই সাহায্য করতে পারবে তাদের। কিন্তু ঈর্ষাকাতর ব্লেইন কি সাহায্য করবে? পরিচালনা করেছেন মাইকেল কার্টিজ। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৪২ সালে।
গন উইথ দ্য উইন্ড
১৯৩৯ সালের ছবি। যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের সময় স্কারলেট ও’হারা ও রেথ বাটলারের প্রেম নিয়ে ছবির গল্প। গল্পটা এক স্বার্থপর নারীর, যে নিজের ভালোবাসার কথা ভালোবাসার মানুষটিকে জানাতে চায় না। শেষ পর্যন্ত সেই মানুষটিকে সে হারিয়েই ফেলে। স্কারলেট জানত না, যে সময় সে অ্যাশলির কাছে তাঁকে গ্রহণ করার অনুরোধ করছিল, একই সময় সেই ঘরে ছিল রেথ। পরিচালনা করেছেন ভিক্টর ফ্লেমিং।
ওয়েস্ট সাইড স্টোরি
শেক্সপিয়ারের অমর সৃষ্টি রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট-অনুপ্রাণিত এই ছবির গল্প। নিউইয়র্ক শহরে রাস্তার দুই মাস্তান দলের মধ্যে চরম বিরোধ। জেটস বনাম শার্কস একে অপরের ছায়াও সহ্য করতে নারাজ। কিন্তু দুই চরম শত্রু গোষ্ঠীর দুই তরুণ-তরুণীর মধ্যে অলৌকিক প্রেম বাসা বাঁধে। জেটস দলের নেতা টনি প্রেমে পড়ে শার্কস দলনেতা বার্নার্ডোর বোন মারিয়ার। কী ভবিষ্যৎ এই প্রেমের? মিউজিক্যাল ধাঁচের এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬১ সালে। ছবির পরিচালক রবার্ট ওয়াইজ ও জেরম রবিনস।
রোমান হলিডে
রাজকুমারী অ্যান বেরিয়েছেন ইউরোপ ভ্রমণে। কিন্তু ছুটিতেও শান্তি নেই। সব সময় নিরাপত্তারক্ষীদের বর্মের আড়ালে থাকলে কি আর ছুটি কাটানো যায়? এক রাতে হোটেল ছেড়ে পালিয়ে গেল অ্যান। তার সঙ্গে দেখা হলো রোমে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে আসা মার্কিন সাংবাদিক জোয়ের। অ্যান তখন ঘুমিয়ে ছিল বেঞ্চিতে। জো নিজের ঘরে নিয়ে এল অ্যানকে। দুজনের মনের কোণে উঁকি দিল প্রেমসূর্য। কিন্তু জো আবিষ্কার করল, অ্যান আর কেউ নয়, মহামান্য রাজকন্যা! ১৯৫৩ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি পরিচালনা করেছেন উইলিয়াম ওয়াইলার।
অ্যান অ্যাফেয়ার টু রিমেম্বার
নিকি হচ্ছে ‘প্লেবয়’, প্রেম তার কাছে ছেলেখেলাই। ইউরোপ থেকে নিউইয়র্কের জাহাজে করে যাওয়ার সময় নিকের সঙ্গে পরিচয় টেরির। দুজনের মধ্যে হয়ে গেল প্রেম। কথা ছিল ছয় মাস পর এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের ছাদে আবার দেখা হবে দুজনার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে টেরি যেতে পারল না নির্দিষ্ট দিনে। অপেক্ষা করে ভাঙা মন নিয়ে ফিরে এল নিকি। ভাবল, হয়তো টেরি সত্যিই তাকে ভালোবাসেনি। হয়তো সে বিয়েও করে ফেলেছে। আর কখনোই কি দেখা হবে না নিকি-টেরির? পরিচালনা করেছেন লিও ম্যাকক্যারি। ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায় ছবিটি।
- ট্যাগ:
- সিনেমা
- বিনোদন
- হলিউড
- হলিউড রোমান্টিক সিনেমা