(প্রিয়.কম) - হিন্দু সম্প্রদায়ে ভাই-বোনের রাখি বন্ধন একটি উৎসব। আর এই উৎসবের হাওয়া লেগেছে বলিউডের আনাচে-কানাচে। রাখি বন্ধনের এই উৎসবে জানা গেল বলিউডের কিছু অজানা। বেরিয়ে আসলো বলিউড তারকাদের কিছু মজার শৈশব স্মৃতি। পাঁচ বছর বয়সী সোহা আলী খানকে সাইফ আলী খানের সবার সাথে আদাব শেখানো, ভাই আরবাজ খানের বুকে সালমান খানের পেন্সিলের খেল, বেরিয়ে এলো আরও কত অজানা স্মৃতি।

রণবীর কাপুর জানালেন কাজিন কারিনা কাপুরকে নিয়ে কিছু মজার ঘটনা। ছেলে বেলায় একবার বন্ধুদের সাথে খেলছিলেন আমাদের এখনকার বলিউড হেরোইন কারিনা কাপুর। বাড়ির পাশেই এক নালায় সুইমিং পুল মনে করে ঝাঁপ দেন তিনি। জানা গেল আরেকটি মজার ঘটনা। কাজিন কারিনা আর রিদ্ধিমার সাথে প্রায়ই ‘ঘর ঘর’ খেলতেন রণবীর, খেলায় দ্বৈত চরিত্রে দুই জনের স্বামী হতেন বর্তমান বলিউড তারকা রণবীর কাপুর। বলিউড খান সাম্রাজ্যে তিন ভাইয়ের উপস্থিতি কারও অজানা নয়। তবে অজানা হতে পারে তাদের ছেলে বেলার কিছু খুনসুটি। মজার কিছু ঘটনা জানালেন ‘কিক’ সুপারস্টার সালমান খান। ঘরে আরবাজ খানকে ডাকা হতো ‘পাপ্পু’ বলে। হঠাৎ ড্যাডির ডাক পড়লে সটান দাঁড়িয়ে যেতেন তিন ভাই নয়তো যে যেখানে আছে ভদ্র। একবার সামনে জিওগ্রাফী পরীক্ষা, অথচ আমাদের সাল্লু ভাই পড়ছেন ইতিহাস, ফেল নিশ্চিত বলে কোঁচাতে লাগলেন ভাই আরবাজ। চটে গিয়ে আরবাজের দিকে ��েন্সিল ছুঁড়ে মারলেন সালমান, আর তাতেই ডার্টের মতো আরবাজ খানের বুকে গিয়ে বিধলো পেন্সিল। বোন সোহা আলী খানের প্রথম ব্লকবাস্টার মুভি ‘রাং দে বাসান্তি’ মুক্তির এক বছর পরেও কেন দেখেন নি ভাই সাইফ আলী খান, তার উত্তর নেই ভাইয়ের কাছে। তবে জানিয়েছেন ছেলে বেলার কিছু অজানা ঘটনা। ছেলে বেলায় ইংল্যান্ডে থাকতে পাঁচ বছর বয়সী সোহা আলী খানকে সাইফ আলী খান শেখাতেন আদাব করার কৌশল। আর এই কৌশল শেখানোর বদৌলতে আট বছর বয়সী বোনের হাত খরচ পাঁচ পাউন্ড প্রায়ই হাত করতেন ভাই সাইফ আলী খান। ছেলে বেলায় সোহা ভাবতেন তার ভাইয়ের দৌড়াত্ব হবে ছোটখাটো কোন ব্যান্ডের গিটারিস্ট পর্যন্ত। ভোজন রসিক প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ভাগ্যটা কম ভাল না। ভাই সিদ্ধার্থ চোপড়া পড়ছেন ‘কুলিনারি ক্সিল’-এ। সাত বছরের ছোট হওয়া সত্তেও জীবন সঙ্গিনীকে ঠিক করে রেখেছেন ছোট ভাই সিদ্ধারথ। ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা বললেন, ও ভাল রাঁধে। আমরা যখন এক সাথে থাকি তখন ও আমাকে স্পেশাল কিছু একটা করে খাওয়ায়। সাবেক বিশ্ব সুন্দরি বলেন তিনি প্রতি বছরই রাখি পাঠান ভাই ও কাজিনদের জন্য। তবে খুব ভাল লাগে যখন তারাও কিছু না কিছু উপহার পাঠায়।