
ছবি সংগৃহীত
নিজের মায়ের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সমপর্যায়ের গুনাহ কী?
আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৫, ১৩:২৪
সুদ সমাজ শোষণের অন্যতম হাতিয়ার। সুদ প্রথা ধন-সম্পদকে সমাজের মুষ্টিমেয় পুঁজিপতির হাতে কুক্ষিগত করে দেয়। তাই ইসলামের বিধান অনুসারে সুদ হারাম। মেয়াদি সুদ, চক্রবৃদ্ধি সুদ এবং বাণিজ্যিক সুদ তথা সব ধরনের সুদই ইসলামে নিষিদ্ধ। সুদি কারবারে লিপ্ত ব্যক্তি নিজের ওপর অভিসম্পাতের দ্বার উন্মুক্ত করে দেয় বলে কোরানে উল্লেখ রয়েছে। সুদ সম্পদের উন্নতি ও বরকত নষ্ট নিঃশেষ করে দেয়। সুদে লিপ্ত ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহ সুদকে মিটিয়ে দেন এবং সদকাকে বাড়িয়ে দেন। কোরানে কারিমে অন্যত্র আরো ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা অবশিষ্ট আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা মুমিন হও। কিন্তু যদি তোমরা তা না কর, তাহলে আল্লাহ ও তার রাসুলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা নাও, আর যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই থাকবে। তোমরা অত্যাচার করবে না এবং তোমাদের অত্যাচার করা ঠিক হবে না। সুরা বাকারা সুদ প্রসঙ্গে মুসলিম শরীফের এক হাদিসের বর্ণনা এমন, হজরত জাবির [রা.] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ [সা.] সুদখোর, সুদদাতা, সুদের হিসাবরক্ষক এবং সাক্ষীদ্বয়ের ওপর অভিশাপ বর্ষণ করেছেন এবং বলেছেন, তারা সবাই সমান পাপী। অন্য এক হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ [সা.] ইরশাদ করেন, সুদের সত্তর প্রকার গুনাহ রয়েছে। এর নিম্নটি হলো নিজের মায়ের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সমপর্যায়ের গুনাহ। বুখারি শরীফে হজরত সামুরা বিন জুনদুবের সূত্রে একটি লম্বা হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, [মেরাজের রাতে] হজরত রাসুলুল্লাহ [সা.] এক গোত্রের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেন, যাদের বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দেয়া হচ্ছিল। তার মধ্যে এক ব্যক্তি রক্তের সমুদ্রে সাঁতার কাটছিল। আর অপর ব্যক্তি তীরে দাঁড়িয়েছিল, তার সামনে রাখা ছিল পাথর। যখনই সাঁতারু ব্যক্তি তীরের নিকটবর্তী আসে, তীরে দণ্ডায়মান ব্যক্তি তার দিকে পাথর নিক্ষেপ করে। ফলে সে আবার নহরের মাঝখানে ফিরে যায়। পুনরায় যখন নহরের নিকটবর্তী হয়, লোকটি আরেকটি পাথর নিক্ষেপ করে, অনুরূপ করতে ছিল। আল্লাহর কাছে আমরা আশ্রয় প্রার্থনা করছি। রাসুলুল্লাহ [সা.] জিজ্ঞাসা করেন এ ব্যক্তি কে? তাকে বলা হলো এ হচ্ছে সুদখোর। মাওলানা মিরাজ রহমান