ছবি সংগৃহীত

দেড় কোটি টাকা দামের ৪টি তক্ষক গিরগিটি উদ্ধার

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০৯:০৩
আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ০৯:০৩

(প্রিয়.কম) প্রায় দেড় কোটি টাকা সমমূল্যের ৪টি তক্ষক গিরগিটিসহ তিন ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সিলেট পুলিশ। বুধবার রাতে নগরীর দক্ষিন সুরমা এলাকার হুমায়ুন রশিদ চত্বরে অভিযান চালিয়ে তক্ষকসহ তক্ষক পাচার চক্রকে আটক করে। আটকৃতরা হলো- কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ধরাকুল গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে মনির উদ্দিন (৬০), খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি থানার মুল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল মজিদ (৪৮) ও একই এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে জুলহাস মিয়া (৪৮)। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মনির উদ্দিন’সহ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে তক্ষক ব্যবসা করে আসছিলেন। বুধবার সন্ধ্যা রাতে চট্রগ্রামের খাগড়াছড়ি থেকে দুজন তক্ষক ব্যবসায়ী ৪টি তক্ষক নিয়ে সিলেটে। তারা নগরীর দরগাহে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার গেইটের সামনে গিয়ে মনির উদ্দিনের কাছে তক্ষকগুলো বিক্রি করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দু’জন তক্ষক ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ ও জুলহাস মিয়াকে আটক করেন দক্ষিন সুরমা ফাড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম খান। তাদের তথ্য মতে দরগাহ গেইটে অভিযান চালিয়ে ৪টি তক্ষকসহ মনির উদ্দিনকে আটক করা হয়। যার মূল্য আনুমানিক দেড় কোটি টাকার উর্ধ্বে। মনির উদ্দিন পুলিশকে জানান, তিনি তক্ষকগুলো বাড়িতে নিয়ে লালন-পালন করার জন্য ক্রয় করেন। তবে ব্যবসার জন্য নয়। আটককৃতদেরকে আদালতে চালান ও তক্ষকগুলোকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, তক্ষক (Gecko) Lacertilia বর্গের Gekkonidae গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতি। পিঠের দিক ধূসর, নীলচে-ধূসর বা নীলচে বেগুনি-ধূসর। সারা শরীরে থাকে লাল ও সাদাটে ধূসর ফোঁটা। পিঠের সাদাটে ফোঁটাগুলি পাশাপাশি ৭-৮টি সরু সারিতে বিন্যস্ত। কমবয়সী তক্ষকের লেজে পরপর গাঢ-নীল ও প্রায় সাদা রঙের বলয় রয়েছে। মাথা অপেক্ষাকৃত বড়, নাকের ডগা চোখা ও ভোঁতা। চোখ বড় বড়, মণি ফালি গড়নের। লেজ সামান্য নোয়ানো। দৈর্ঘ্য নাকের ডগা থেকে পা পর্যন্ত ১৭ সেমি এবং লেজও প্রায় ততটা। তক্ষকের ডাক চড়া, স্পষ্ট ও অনেক দূর থেকে শোনা যায়। ডাকের জন্যই এই নাম। কক্‌কক্‌ আওয়াজ দিয়ে ডাক শুরু হয়, অতঃপর ‘তক্‌-ক্কা’ ডাকে কয়েক বার ও স্পষ্টস্বরে। এরা কীটপতঙ্গ, ঘরের টিকটিকি ছোট পাখি ও ছোট সাপ খেয়ে থাকে। ছাদের পাশের ভাঙা ফাঁক-ফোঁকড় বা গর্তে অথবা গাছে বাস করে। ব্যাপক নিধনই বিপন্ন হওয়ার কারণ। অনেকে ভুলক্রমে তক্ষককে বিষাক্ত সরীসৃপ হিসেবে চিহ্নিত করে। দেশী চিকিৎসায় এদের তেল ব্যবহূত হয়। ভারত ও বাংলাদেশসহ মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাওস, কাম্পুচিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬০০ প্রজাতির তক্ষকের বাস। ফাইল ফটো