
ছবি সংগৃহীত
'ডাকসু' ও 'ডাকসু সংগ্রহশালা': ইতিহাস আর প্রজন্মস্মৃতির ধারক
প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০১৪, ০৭:১১
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৪, ০৭:১১
আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৪, ০৭:১১
(প্রিয়.কম) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ( ডাকসু) এর জন্ম ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কিছু কাল পরেই। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই বাংলাদেশের সামগ্রিক ইতিহাসে এক ঘটনাবহুল অবদান রাখে এই সংগঠনটি। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান, ৭১-এর স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে রক্তক্ষয়ী জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম এবং পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে স্বৈরাচার ও সামরিকতন্ত্রের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে সাহায্য করেছে এই ডাকসু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ।

প্রতিষ্ঠা ও নির্বাচন :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর প্রতিষ্ঠা ১৯২৪ সালে। ১৯২৪-২৫ সালে প্রথম ডাকসুর ভিপি মনোনীত করা হয়। ১৯৫৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ডাকসুর প্রথম নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে ভিপি মনোনীত ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোটে প্রথম নির্বাচন ১৯৫৩ সালে। ডাকসুর প্রথম ভিপি (ভাইস প্রেসিডেন্ট) হিসেবে নির্বাচিত হন এস এ বারী এটি এবং জিএস (জেনারেল সেক্রেটারি) হিসেবে নির্বাচিত হন জুলমত আলী খান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ডাকসুর ভিপি হিসেবে নির্বাচিত হন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং জিএস নির্বাচিত হন মাহবুবুর জামান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ডাকসু এক গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে। ডাকসুর নেতৃবৃন্দের সাহসী ও বলিষ্ঠ উদ্যোগে ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন ১৯৭১ সালে থাকা ভিপি জনাব আ স ম আবদুর রব। আর এ সময় জিএম ছিলেন আবদুল কুদ্দুস মাখন। ডাকসুর সবর্শেষ নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয় ২৪ বছর আগে ১৯৯০ সালে। ১৯৯০ সালের ৬ জুন ডাকসুর ও ১৮ টি আবাসিক হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ১৯৮৯ সালের ৮ ই ফেব্রুয়ারি ডাকসু ও হল সংসদের ৬ষ্ঠ নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভিপি নির্বাচিত হয় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ এবং জিএস হন মুশতাক হোসেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৯০ সালের নির্বাচন ছিল ৭ম নির্বাচন। ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচনে ২৮ হাজার ৬ শত ৯০ জন ভোটারর মধ্যে ১৮ হাজার ৩৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।ডাকসুর ২০ টি পদে ৪৮৯ জন এবং ১৪টি পদে ১০৪০ জন প্রার্থী সেদিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
ডাকসু সংগ্রহশালা :
ডাকসু ভবনের নিচতলায় আছে ডাকসু সংগ্রহশালা। এই সংগ্রহ শালার বর্তমান দায়িত্বে আছেন শ্রী গোপাল চন্দ্র দাস। তিনি ডাকসুর এই সংগ্রহ শালায় স্থান দিয়েছেন বাংলাদেশের পুরো ইতিহাসকে। তিনি তাঁর কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন জায়গা থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন। বর্তমানে যে ডাকসু ভবন এবং সংগ্রহ শালা রয়েছে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ১৯৯১ সালের ২৬ শে মার্চ। স্থাপন করেন তৎকালীন মাননীয় উপাচার্য ডাকসু সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান মিয়া।






২ ঘণ্টা, ৫৭ মিনিট আগে
৩ ঘণ্টা, ৫ মিনিট আগে
৩ ঘণ্টা, ৭ মিনিট আগে
৩ ঘণ্টা, ৮ মিনিট আগে
১২ ঘণ্টা, ১০ মিনিট আগে
১৬ ঘণ্টা, ৩৬ মিনিট আগে
১৬ ঘণ্টা, ৫২ মিনিট আগে
১৭ ঘণ্টা আগে