
ছবি সংগৃহীত
জেনে নিন অ্যাজমার কারণ ও লক্ষণগুলো
প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর ২০১৩, ০৫:২৩
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৩, ০৫:২৩
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৩, ০৫:২৩
নগর সভ্যতা আমাদের যেমন আরামদায়ক এক জীবন দিয়েছে তেমনি কিছু রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে। বাতাসে ধূলা, ধোঁয়া ও অন্যান্য নানা বিষাক্ত পদার্থের কারণে সহজেই আক্রান্ত হয় আমাদের ফুসফুস ও শ্বাসনালী। সেরকমই একটি রোগ অ্যাজমা। সাধারনত বাংলাদেশে এটি হাঁপানি বলেই পরিচিত। অ্যাজমা রোগটি থেকে পুরোপুরি আরোগ্য পাওয়া সম্ভব না হলেও একে নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। এটি যে কোন বয়েসে যে কারোই হতে পারে। জেনে নিন এর কারণ ও লক্ষণগুলো।
কারণঃ
অ্যাজমা সাধারনত ২ টি কারণে হয়ে থাকে। • বংশগতঃ পরিবার বা আত্মীয়দের কারো অ্যাজমা থাকলে সেটি বংশানুক্রমে প্রবাহিত হতে পারে। • আবহাওয়াজনিতঃ সাধারণত বায়ুতে খুব বেশি দূষণ থাকলে এই ধুলা বালি ও অন্যান্য উপাদান শ্বাসনালীতে জমে এক ধরণের ঘা তৈরী করে। সে কারণেও অ্যাজমা হয়ে থাকে।লক্ষণসমূহঃ
১) বুকে বাঁশির মত আওয়াজঃ
২) ক্রমাগত কাশিঃ
একবার কাশি হলে সহজে তা ভালো হতে চায় না এবং একবার কাশতে শুরু করলে সহজে তা থামতে চায় না। বেশি কাশির ফলে কফের সাথে সামান্য রক্তপাত হতে পারে।৩) রাতে ও ভোরের দিকে ঠান্ডাজনিত কাশী ও সর্দির প্রকোপ বেড়ে যাওয়াঃ
সাধারণত শীতকালে বা আবহাওয়ায় হঠাৎ বড় কোন পরিবর্তন বা ধুলা বালির কারণে এটি হলেও রাতে ও ভোরের দিকে কাশি, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।৪) কাশির কারনে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়াঃ
অনেক সময় কাশতে কাশতে রাতে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে। এসময় শ্বাসকষ্ট হতে পারে।৫) বুকে চাপ অনুভব করাঃ
নিশ্বাস নেয়া ও ছাড়ার সময় এবং এমনিতেও বুকে চাপ অনুভব হতে পারে।৬) শ্বাসকষ্টঃ
এটি প্রধানতম লক্ষণ। বুক ভরে বড় শ্বাস নিতে না পারা, ছোট ছোট ও ঘন ঘন নিশ্বাস নেয়া এগুলো অ্যাজমার প্রাথমিক লক্ষণ।৭) ক্রমাগত ক্লান্তি ও বিষন্নতাঃ
ক্রমাগত ক্লান্তি ও অল্পতেই বিষন্ন হয়ে পড়ার প্রবণতাটিও অ্যাজমার কারণে দেখা দিতে পারে।৮) অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়াঃ

৯) ব্যায়ামের সময় খুব দ্রুত দম ফুরিয়ে যাওয়াঃ
ব্যায়াম করা বা দৌড়ানোর সময় খুব দ্রুত দম ফুরিয়ে যাওয়া, বুকের ভেতর বাঁশির মত বা ঘড়ঘড় আওয়াজ।১০) কথা বলতে সমস্যা হওয়াঃ
কথা বলার সময় বার বার নিঃশ্বাস আটকে যাবার ফলে দ্রুত বা স্বাভাবিক গতিতে কথা বলতে না পারা বা থেমে থেমে বার বার শ্বাস নিয়ে কথা বলা। একটু মিলিয়ে নিন উপরের কোন লক্ষণ আপনার অসুস্থতার সাথে মিলে যায় কিনা। বেশ কিছু লক্ষণ যদি মিলে গিয়ে থাকে, তবে দেরি না করে ডাক্তার দেখান এখনই!
৪১ মিনিট আগে
৪৩ মিনিট আগে
৪৪ মিনিট আগে
১৪ ঘণ্টা, ২০ মিনিট আগে
১৫ ঘণ্টা, ১৩ মিনিট আগে
১৫ ঘণ্টা, ৪৪ মিনিট আগে