ছবি সংগৃহীত

ছবিতে দেখুন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১৬টি ভাস্কর্য

আরিফ আরমান বাদল
সহ-সম্পাদক, বিজনেস এন্ড টেক
প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০১৫, ১২:৪৫
আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৫, ১২:৪৫

(প্রিয়.কম) ভাস্কর তার সূক্ষ্ণ নৈপুন্যে তিলে তিলে গড়ে তোলেন ভাস্কর্য। তার কল্পনা রূপ পায় বাস্তবিক সৌন্দর্যে। সেই ভাস্কর্য হয়ে উঠতে পারে সমাজের নানা প্রান্তের, নানা বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। তবে ভাস্কর্যগুলো আকারভেদে বিভিন্ন রকমের হতে পারে। বিশ্বে আকারে সবচেয়ে বড় ১৬টি ভাস্কর্য সম্পর্কে এবার জেনে নেয়া যাক- বিশ্বের বৃহত্তম শায়িত বুদ্ধের মূর্তি থেকে শুরু করে ১০৫ ফুট লম্বা মাও সেতুং ভাস্কর্যসহ বিশ্বের সব বৃহৎ ভাস্কর্য এক পলকে দেখে নিতে পারেন কম্পিউটারে স্ক্রল করে। এসব ভাস্কর্য তৈরিতে অন্তত ২০ বছর এবং কয়েক মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে ভ্রমণকারীদের আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে। দেখে নেয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাস্কর্যগুলো- ১. ব্রাজিলের দি খ্রিস্ট দি রিডিমার ভাস্কর্যটি রিও ডি জেনিরো শহর থেকে ২,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। যা দর্শনার্থীদের এক অসাধারণ দৃশ্য উপহার দেয়। ১ ১০০ ফুট লম্বা চমৎকার নকশাকৃত এই ভাস্কর্যটি বিশ্বের নব সপ্তাশ্চার্যের মধ্যে একটি। ২. ৩৮০ ফুট উচ্চতার মিয়ানমারের পো কং পাহাড়ে নির্মিত লাইকিয়ুন সেক্কিয়া বুদ্ধ মূর্তিটি পুথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাস্কর্য। ২ আর এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় শায়িত বুদ্ধের মূর্তি। ৩. হুনান প্রদেশে নির্মিত এই ভাস্কর্যটি সমাজতান্ত্রিক চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সেতুং-এর। ৪ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করতে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে। ৪. চীনা নদীর পাশ্ববর্তী জিজুও শৃঙ্গের পাহাড় কেটে তৈরি করা বিরাটাকার লেসান বুদ্ধের মূর্তিটি উচ্চতায় ২৩২ ফুট। ৪৪ ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত বুদ্ধের মূর্তিটিতে আছে এক অসাধারণ শৈল্পিক ছোঁয়া। হাজারো খোপা দিয়ে বুদ্ধের কুন্ডলিত চুল তৈরি করা হয়েছে। ৫. উজ্জ্বল গোলাপী রঙের হিন্দু দেবতা গণেশের মূর্তিটি থাইল্যান্ডের চাচায়েংসেও প্রদেশে নির্মিত। ৭৮ ফুট দীর্ঘ মূর্তিটি উচ্চতায় ৫২ ফুট। ৫ ৬. চওকতাগি নামের এই শায়িত বুদ্ধের ভাস্কর্যটি মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে নির্মিত। ৬ সুবর্ণ পোশাকে মোড়ানো ভাস্কর্যটির মাথায় আছে হীরার মুকুট। ৭. লন্ডনের টেমস নদীর তীরে নির্মিত ৪৬ ফুট দীর্ঘকায় সাঁতারুর ভাস্কর্যটি লম্বায় ১০ ফুট। ৭ ৮.৩৪৭ ফুট উঁচু সম্রাট ইয়ান এবং হুয়াংয়ের ভাস্কর্যটি মধ্য চীনের হেনান প্রদেশে অবস্থিত। ৮ ৯. মাদারল্যান্ড স্মৃতিস্তম্ভ নামের ২০৩ ফুট উচ্চতার এই ভাস্কর্যটি নাৎসী জার্মানী থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় উদযাপনে নির্মাণ করা হয়। ভাষ্কর্যটির প্রকান্ড উচ্চতার কারণে এটিকে ইউক্রেনের কিয়েভ শহরের যেকোন অংশ থেকে দেখা যায়। ৯ ১০. রোমানিয়ার ওরসোভা শহরের দানিয়ুব নদীর তীরের পাহাড়ে নির্মিত খাঁজকাটা মূর্তিটি ডেসিয়া’র রাজা ডিসবেলাসের। ১৩১ ফুট উচ্চতার এই ভাষ্কর্যটি ইউরোপের সবচেয়ে লম্বা শিলা দ্বারা নির্মিত ভাস্কর্য। ১০ ১১. মালয়েশিয়ার শিলানগরের বাতু গুহায় নির্মিত এই মূর্তিটি প্রভু মুরুগানের। ২৫০ টন ইস্পাত এবং ৭৯ গ্যালন সোনার লেপনে নির্মিত ১৩৭ ফুট উঁচু ভাষ্কর্যটিকে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা হিন্দু দেবতার মূর্তি বলা হয়ে থাকে। ১১ ১২. পোল্যান্ডের সুইবোডজিনে নির্মিত যিশু খ্রিস্টের মূর্তিটি মূলত শহরটির নাগরিকদের দানকৃত অর্থে তৈরি করা হয়। ১৭২ ফুট উঁচু মূর্তিটির মাথার মুকুটের উচ্চতা ১০ ফুট। ১২ ১৩. মেরিলিন মনরোর “ দি সেভেন ইয়ার ইচের” এই বিখ্যাত দৃশ্যটির মূর্তিরূপ দিতে ২ বছর লেগেছে এক চীনা শিল্পীর। উল্লেখ্য, মূর্তিটি ২৬ ফুট লম্বা। ১৩ ১৪. দি মেরলায়ন অব সেনতোসা নামের এই মূর্তিটি সিঙ্গাপুরের সেনতোসা দ্বীপে অবস্থিত। ১২১ ফুট উচ্চতার ভাষ্কর্যটি মূলত অবাস্তব সিংহ কেশীয় মাছের আদলে নির্মিত। জাতীয় প্রতীকটি মালয় শব্দ ‘লায়ন সিটি’ থেকে উদ্ভূত। ১৪ ১৫. দ্য স্ট্যাচু অব লিবার্টি নামের এই বিখ্যাত ভাস্কর্যটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের লিবার্টি দ্বীপে নির্মিত। ৩০৫ ফুট উচ্চতার এই ভাস্কর্যটি ফ্রান্স কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রকে উপহারস্বরূপ প্রদান করা হয়। ১৫ ১৬. চীনের হেইনান প্রদেশের গুয়ান ইন ভাস্কর্যটির তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দিক আছে। একটি অংশ দ্বীপের দিকে এবং অন্য দুটি অংশ দক্ষিণ চীনা সাগরের দিকে মুখ করা। অসাধারণ এই ভাস্কর্যটি উচ্চতায় ৩৫৪ ফুট। ১৬