
ছবি সংগৃহীত
চিনি তৈরিতে ব্যবহার হতে পারে হাড়ের গুঁড়োর
আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৫, ০৭:২০
(প্রিয়.কম)- যারা ভেজিটেরিয়ান খাবার খেতে অভ্যস্ত, তাদের জন্য দুঃসংবাদ। যে চিনিকে এতোদিন উদ্ভিজ্জ খাবার মনে করে খেয়ে আসছেন আপনি, তা তৈরিতেই ব্যবহার হতে পারে বিভিন্ন প্রাণীর হাড়ের গুঁড়ো। যে রিফাইনড সুগার আমরা চা-কফি বা মিষ্টান্ন তৈরিতে ব্যবহার করি, তা আখ(সুগারকেন) বা সুগারবীট থেকে তৈরি হয়। এরা স্বাদ ও পুষ্টিমানে প্রায় একই রকম। কিন্তু এদের প্রস্তুতপ্রণালী, বিশেষ করে বলতে গেলে শুদ্ধিকরণ প্রণালী আলাদা। আখের রস প্রক্রিয়াজাত করে ক্রিস্টালাইজ করা হয় তাপের মাধ্যমে। কিন্তু একে ফিল্টার এবং সাদা রঙ্গে রূপান্তরিত করার জন্য ব্যবহার করা হয় বোন চার বা প্রাণীর হাড়ের কয়লা। সুগার বীট প্রক্রিয়াজাতের সময়ে বোন চার ফিল্টার ব্যবহার করা হয় না, কারণ এই চিনিকে এতোটা সাদা করার প্রয়োজন হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গরুর হাড় থেকে বোন চার তৈরি করা হয়। এর জন্য উচ্চ তাপে এসব প্রাণীর হাড় গরম করা হয় আর তা কয়লা হয়ে গেলে চিনি প্রক্রিয়াজাতে ব্যবহার করা হয়। চিনির মাঝে এসব হাড়ের অবশিষ্টাংশ থাকে না বটে। এসব হাড় চিনি থেকে অশুদ্ধি দূর করে, কিন্তু রিফাইনড সুগারে এসব হাড়ের গুঁড়ো থাকে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বোন চার ব্যবহার না করে গ্র্যানিউলার কার্বন ব্যবহৃত হয়। কিন্তু খালি চোখে দেখে এ দুইয়ের পার্থক্য বোঝা যায় না। এ ব্যাপারটি জানার পর অনেকেই ভাবতে পারেন, তাহলে সুগার বীট থেকে তৈরি চিনি ব্যবহার করলেই হয়। সমস্যা হলো, আপনি বাইরে থেকে মিষ্টি খাবার কিনে আনলে তাতে কি রকমের চিনি ব্যবহৃত হচ্ছে তা কি করে বুঝবেন? (মূল: Kate Bratskeir, Huffington Post)