
ছবি সংগৃহীত
একজন আদর্শ মায়ের মাঝে ইসলামের দৃষ্টিতে কি কি গুণ থাকা জরুরি?
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৫, ০২:১৫
ইসলাম একজন মাকে আদর্শ জননী হওয়ার প্রতি বেশি মনোযোগী হওয়ার কথা বলেছে এবং এ বিষয়ে বেশ গুরুত্ব প্রদান করেছে। পারিবারিক জীবনে মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান গর্ভে ধারণ ও লালন-পালনের সামগ্রিক দায়িত্ব মায়ের একার ওপর নির্ভরশীল। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরানে ইরশাদ করেছেন, ‘মাতা সন্তানকে অতি কষ্টের পর কষ্ট সহ্য করে গর্ভে ধারণ করেন এবং প্রসব করেন।’ (লুকমান-১৫) কোরান ও হাদিসের আলোকে একজন আদর্শ জননীকে নিুবর্ণিত বিষয়গুলোর প্রতি তীক্ষè দৃষ্টি রাখতে হবে। মা সন্তানকে যে আদর্শে বড় করতে চান, প্রথমে তাকে সে আদর্শে গড়ে উঠতে হবে। সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক নিবিড় হওয়া উচিত। মাকে সন্তান যেমন শ্রদ্ধা-সম্মানের চোখে দেখবে, তেমনি মায়েরও উচিত সন্তানের ব্যক্তিত্বের প্রতি লক্ষ্য রাখা। ছেলেমেয়েদের ইসলামী সহি আকিদা শেখাবেন। ছেলেমেয়েদের উপস্থিতিতে কখনো স্বামীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক বা ঝগড়া করবেন না। মাঝে-মধ্যে সন্তানদের নিয়ে চরিত্র গঠনমূলক সত্য ও উন্নত কাহিনীর মাধ্যমে গল্প করবেন। ছেলেদের বাবা, ভাই অথবা বন্ধুদের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মসজিদে পাঠাবেন। হে, মমতা, আদর ও ভালোবাসা আদান-প্রদানের জন্য সময় নির্ধারণ করে তাদের নিয়ে বসবেন। এ ব্যাপারে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না। বিভিন্ন ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে পরস্পরের মধ্যে মতবিনিময় হওয়া উচিত। সন্তানের ব্যক্তিত্ব বিকাশে মায়ের আচরণে ছেলের যেন সন্তুষ্টি অর্জিত হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। এ বয়সটা সন্তানের চিন্তার স্বাধীনতা ও ব্যক্তিত্ব গঠনের বয়স। মাকে এমনভাবে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে সন্তান ধর্মীয় বিধি-বিধান, আইন-অনুশাসন পুরো মেনে চলে। সন্তানের সব সঙ্গতি-অসঙ্গতির ব্যাপারে প্রথমত মা’ই দায়ী। ফলে সন্তানের পরিশুদ্ধি, ধর্মের অনুশীলন ইত্যাদির ব্যাপারে প্রথমে মাকেই পরিশুদ্ধ হতে হবে, তাকে ধর্মচর্চা করতে হবে। মা যদি ধর্মীয় ব্যাপারে উদাসীন হন, তাহলে সন্তান কিছুতেই এ ব্যাপারে মায়ের নির্দেশ মানবে না। তাই মায়ের মধ্যে ধর্মীয় ব্যাপারে কোনো ত্র“টি থাকলে দ্রুত তা ঠিক করে ফেলা উচিত। নিজেরা ত্র“টিমুক্ত হলে সন্তানও ত্র“টিমুক্ত হবে। মায়ের উচিত সন্তানের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। তাদের সঙ্গে আচার-আচরণ, কথাবার্তা, চলাফেরায় সচেতন ও সতর্ক হওয়া। সন্তানের মন-মানসিকতা বুঝতে হবে। তাদের চাহিদাগুলো পূরণের ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে। তাদের ব্যক্তিত্বকে সম্মানের সঙ্গে দেখতে হবে। মাওলানা মিরাজ রহমান