
ছবি সংগৃহীত
আপনি কি জানেন, আপন বড় ভাই-বোনের হক কী!
আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৫, ১০:০৮
মাতা-পিতা ও স্ত্রী-সন্তানের পর পরিবারে সবচেয়ে কাছের এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হচ্ছে ভাই-বোনের সম্পর্ক। এখানে ভাই-বোন বলতে আপন বা একই ঔরসজাত ভাই-বোন বোঝানো হচ্ছে। আরবিতে যাদের জিরেহেমে এবং বাংলা ভাষায় সহোদর বা একই মায়ের গর্ভের ভাই-বোন বলা হয়। ভাই-বোনের সম্পর্ক মধুর সম্পর্ক। বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণীর এবং বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে অধিকার দ্বারা সম্মানিত করেছে ইসলাম। ইসলাম কারো হকের ব্যাপারে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয়নি। সবাইকে তার ন্যায্য অধিকার প্রদান করেছে এবং সব মুসলিমকে আদেশ প্রদান করেছে অন্যের হক সঠিক ও যথাযথভাবে আদায় করার জন্য। ইসলামের নবির [সা.] মৌলিক মিশনই ছিল কারো হক বা অধিকার নষ্ট না করা। তিনি বলতেন, কোনো মুসলিম অন্য কারো হক বা অধিকার নষ্ট করতে পারে না। ভাই-বোনের হক বা অধিকারের প্রতিও ইসলাম যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করেছে। হাদিসে বড় ভাইকে বাবার সমান এবং বড় বোনকে মায়ের সমান বলা হয়েছে। সুতরাং একজন সন্তানের ওপর মাতা-পিতার যেসব হক বা অধিকার রয়েছে, বড় ভাই ও বড় বোনের ব্যাপারেও ছোট ভাই এবং ছোট বোনদের একই হক বা অধিকার। ১. বড় ভাই ও বড় বোনকে সম্মান করা। অর্থাৎ বড় ভাই ও বোন হিসেবে সে যে পরিমাণ বা যতটুকু সম্মানের অধিকার রাখে, ঠিক ততটুকু সম্মান প্রদর্শন করা। এ ক্ষেত্রে কোনো কমতি না করা এবং খুব বেশি বাড়াবাড়িও না করা। ২. তাদের কথা মেনে চলা। অর্থাৎ শরিয়তের খেলাফ যদি কোনো আদেশ তারা না করে, সে ক্ষেত্রে কোনো প্রকার অজুহাত না দেখিয়ে যথাসময়ে আদেশ পালন করা। কিন্তু যদি এমন হয় যে, বড় ভাই ও বোন শরিয়ত বিরোধী কোনো কাজের আদেশ করছে, সে ক্ষেত্রে তাদের আদেশ না মানলে হক বা অধিকার নষ্ট করা হবে না। ৩. তাদেরকে কোনো প্রকার কষ্ট না দেয়া। অর্থাৎ শারীরিক বা মানসিক কোনো প্রকার কষ্ট বড় ভাই ও বোনকে না দেয়া এবং কষ্ট পেতে পারে, এমন কাজের পরিকল্পনাও না করা। ৪. প্রয়োজনমাফিক তাদের আর্থিক সাহায্য করা। অর্থাৎ এমনও হতে পারে যে, বড় ভাই ও বোন আর্থিকভাবে ছোট ভাই বা বোনের তুলনায় দুর্বল। সে ক্ষেত্রে ছোট ভাই ও বোনদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে বড় ভাই-বোনদের হক বা অধিকার সঠিকভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন। মাওলানা মিরাজ রহমান