শীর্ষ দশে বাংলাদেশের মাত্র দুই

মানবজমিন প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগে (বিপিএল) চলছে শেষ রাউন্ডের খেলা। ফিকশ্চার অনুযায়ী আগামী ৩রা আগস্ট শেষ হওয়ার কথা লীগ। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। প্রথমবার বিপিএল খেলতে এসেই শিরোপা জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী রানার্সআপ হয়ে লীগ শেষ করেছে। চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ নিশ্চিত হলেও বিজেএমসির সঙ্গে কোনো দলের অবনমন হচ্ছে তা বলা যাচ্ছে না। ২২ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে আছে বিজেএমসি। বাকী দুই ম্যাচ জিতলেও তাদের টিকে থাকার সম্ভাবনা নেই। ২২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট ব্রাদার্স ইউনিয়নের, ২৩ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট পাওয়া নোফেল ও ২৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট অর্জন করা রহমতগঞ্জ, কেউই নিরাপদ নয়। বিজেএমসির সঙ্গী হতে পারে এই চার দলের যে কেউ। অবনমন নিশ্চিত না হলেও সর্বোচ্চ গোলাদাতার তালিকায় সবার উপরে থাকা এক প্রকার নিশ্চিত করে ফেলেছেন আবাহনীর সানডে সিজুবা। শীর্ষ ১০ গোলদাতার তালিকায় মাত্র দু’জন আছেন বাংলাদেশের। আবাহনীর নাবীব নেওয়াজ জীবন ও বসুন্ধরা কিংসের মতিন মিয়া। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের সূচনা (২০০৭) থেকেই চলছে বিদেশিদের দাপট। আগের ১০ আসরে একবার মাত্র বাংলাদেশের কোনো ফুটবলার হতে পেরেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। প্রিমিয়ার লীগের তৃতীয় আসরে আবাহনীর জার্সিতে ২১ গোল করে গোল্ডেন বুট জেতেন এনামুল হক। একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জেতা এনামুলের রয়েছে আরেকটি রেকর্ড। এক আসরে দেশীদের মধ্যে তার করা সর্বাধিক ২১ গোলের রেকর্ড এখন পর্যন্ত ছুঁতে পারেননি কেউ। আবাহনীর জীবনের সেই সুযোগ ছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। ১৭ গোল করেছেন তিনি। ২০ করে সবার উপরে নাইজেরিয়ান সানডে সিজুবা। তার চেয়ে এক গোল কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তারই স্বদেশী শেখ রাসেলের রাফায়েল ওডুই। ১৭ গোল নিয়ে তিনে আছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন। শীর্ষ দশে বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডদের মধ্যে জীবনের সঙ্গী কেবল মতিন মিয়া। তালিকা লম্বা করলে ১৫ জনের মধ্যে আছেন আরামবাগের জাহিদ হোসেন। ১১ গোল নিয়ে মতিন মিয়া ১০ নম্বরে এবং ৭ গোল নিয়ে আরামবাগের জাহিদ হোসেন ও আরিফুল ইসলাম এবং ব্রাদার্সের মান্নাফ রাব্বী যৌথভাবে ১২ নম্বরে। শীর্ষ ১০ গোলদাতার মধ্যে চতুর্থ স্থানে বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ার ফরোয়ার্ড মার্কোস ভিনিসিয়ুস ও রহমতগঞ্জের কঙ্গোর ফুটবলার সিও জুনাপিও। ১৩টি করে গোল করেছেন এই দুই ফরোয়ার্ড। এর পরেই ১১টি করে গোল করেছেন নোফেলের গিনিজ ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা, বসুন্ধরা কিংসের কোস্টারিকান ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস ও মতিন মিয়া, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের কলোম্বিয়ান ড্যানিয়েল কর্দোবা, মুক্তিযোদ্ধার আইভরিয়ান ফরোয়ার্ড বাল্লো ফামোসা। ২৩ রাউন্ড পর্যন্ত লীগে গোল হয়েছে ৪১২টি। এর মধ্যে আত্মঘাতী গোলের সংখ্যা ১১টি। লীগে গতকাল পর্যন্ত হ্যাটট্রিক হয়েছে ৮টি। দুটি হ্যাটট্রিক করেছেন নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের গিনিজ ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। বাংলাদেশীদের মধ্যে হ্যাটট্রিক আবাহনীর নাবীব নেওয়াজ জীবন, বসুন্ধরা কিংসের মতিন মিয়া ও আরামবাগের জাহিদ হোসেনের। বাকী তিন হ্যাটট্রিকের মালিক মুক্তিযোদ্ধার বাল্লো ফামোসা আবাহনীর সানডে সিজুবা ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের রাফায়েল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও