ইস্টার সানডে ‘জঙ্গি হামলা’ ঘটিয়েছে মাদক কারবারিরা: শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

আন্তর্জাতিক মাদক চক্রই শ্রীলংকার রক্তাক্ত ইস্টার সানডের বোমা হামলার জন্য দায়ী। খোদ দেশের প্রেসিডেন্ট এই দাবি করেছেন। যদিও পূর্বে ওই হামলার দায় দেওয়া হয়েছিল জঙ্গীদের ওপর। বার্তাসংস্থা এএফপি এই খবর দিয়েছে।মাদকের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অভিযান পরিচালনার মধ্যেই প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা চান, মাদক সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদ- পুনঃপ্রবর্তন করতে। এ বছরের এপ্রিলে খ্রিস্টানদের পবিত্র দিন ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকার বিভিন্ন গীর্জায় সংঘটিত ওই হামলায় ২৫৮ জন মারা গিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ ওই সিরিজ হামলার জন্য জাতীয় তাওহিত জামাথ নামে স্থানীয় একটি জিহাদি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছিল। তবে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ওই হামলার দায় স্বীকার করে।প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার দপ্তর থেকে তখন বলা হয়, ওই বোমা হামলার নেপথ্যে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। কিন্তু সোমবার এক বিবৃতিতে সিরিসেনা বলেন, ওই হামলা ছিল আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসায়ীদের কাজ। তিনি বলেন, ‘মাদক লর্ডরাই ওই হামলা চালিয়েছে আমার মাদক-বিরোধী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে।’সিরিসেনা বর্তমানে নিজের জোটের মিত্রদলগুলোর বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদ- পুনঃপ্রবর্তনের পক্ষে লড়ছেন। তার জোট মিত্ররা চায়, দেশ থেকে মৃত্যুদ- রহিত করা হোক। কাগজে কলমে এই বিধান থাকলেও, শ্রীলংকায় ১৯৭৬ সাল থেকে এই বিধান বাস্তবায়ন স্থগিত রয়েছে। মাদক অপরাধী, খুনি ও ধর্ষকদের প্রায়ই মৃত্যুদ- দিয়ে থাকে শ্রীলংকার আদালত। তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তা যাবজ্জীবন কারাদ- হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।প্রেসিডেন্ট মৃত্যুদ- পুনঃপ্রবর্তনের পক্ষে জনসমর্থন লাভের জন্য লড়ছেন। তার দাবি, অপরাধীদের ফাঁসি দিলেই অবৈধ মাদক বাণিজ্য কমবে। সিরিসেনা ওই বিবৃতিতে বলেন, যদি (নির্বাহী) বিভাগ মৃত্যুদ- রহিত করার বিল উত্থাপন করে, আমি দেশজুড়ে শোক দিবস ঘোষণা করবো। তিনি যোগ করেন, বেশিরভাগ মানুষই দ-প্রাপ্ত গুরুতর আসামীদের ফাঁসি দেওয়ার পক্ষে।তিনি আরও বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা অমালপে সবিতা তাকে ফাঁসি পুনঃপ্রবর্তনের ও মাদক বিরোধী যুদ্ধ পরিত্যাগ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। এর আগে ৪ মাদক অপরাধীকে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করলেও, সুপ্রিম কোর্ট তা স্থগিত করেন। ফাঁসি দেশের সংবিধানের লঙ্ঘন, এমন একটি পিটিশনের নি®পত্তি না হওয়া ব্যতিত ওই ফাঁসি স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও