সীতাকুণ্ডে এক মাসে দুইবার বিদ্যুৎ বিল!
সীতাকুণ্ডে গ্রাহকরা একবার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পরও আবারো একই বিল দিয়ে গ্রাহকদের বাধ্য করায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়, পৌর সদরের মধ্যম মহাদেবপুর বড় বাজারের ব্যবসায়ী প্রদীপ চৌধুরী ৪৮০২/- টাকা গত ২০শে জুন পিডিবির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলেও আবার একই বিল গত ২৪শে জুন ৫৩৬৩/- টাকার বিল তার হাতে ধরিয়ে দেয়। তাছাড়া তার অনেক ভাড়াটিয়াকেও বেশি বেশি বিল দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করে বলে প্রদীপের অভিযোগ। প্রদীপের ছেলে সাজু চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুতের লোকজন মিটার না দেখে তাদের ইচ্ছামতো ইউনিট বসিয়ে বিল ভাউচার দেয়। এমন কি একই মাসে দুইবার বিদ্যুৎ বিল কে দেবে? প্রদীপ চৌধুরীর মতো আরেক গ্রাহক অজিত নারায়ণ অধিকারীর বিদ্যুৎ বিল আসে ২,২৮৭ টাকা এবং তার বিল পরিশোধের শেষ তারিখ ১৪ই জুলাই। কিন্তু ঐ বিলে তারিখ পরিবর্তন করে সিল দিয়ে ৩০শে জুন করা হয়। একই বিল তিনি আগে পরিশোধ করেন। অজিত নারায়ণের ভাতিজা রাজু অধিকারীও একটি বাড়ির মালিক। তারও অনেক ভাড়াটিয়া আছেন। মাত্র কয়েক দিন আগে রাজু ভাড়াটিয়াদের বিল পরিশোধ করেন। কিন্তু আবার একই বিল আগামী ৩০শে জুন বিল পরিশোধ করার জন্য চাপ আসে। তিনি এখন দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন কীভাবে তার ভাড়াটিয়াকে বলবে আবার বিল পরিশোধ করতে? এমনকি এ ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের হয়রানির শিকার সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র চক্রবর্তীও। বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনেরও গত জুন মাসে কয়েকটি মিটারের বিল আসে ৫০ হাজার টাকা। যা অন্য সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বিল। আর এভাবে বাড়বকুণ্ড পিডিবি অফিসের এক শ্রেণির কর্মচারীদের দ্বারা এমন তুঘলকি কাণ্ডে হয়রানির শিকার হয়ে ক্ষোভে গ্রাহকরা ফুঁসে উঠেছে। এদিকে সীতাকুণ্ড বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া ও সেক্রেটারি আলহাজ বেলাল হোসেন জানান, একই মাসে দুইবার বিল দিয়ে পিডিবি বাড়বকুণ্ড অফিসের অত্যাচারে সকল গ্রাহক অতিষ্ঠ। কিন্তু আরো বাড়তি বিল করে দেয়ার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। বিদ্যুতের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিকার দাবি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা। এব্যাপারে পিডিবি আগ্রাবাদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ কুমার সেন বলেন, আসলে আমরা জুন মাসে একটু বাড়তি সংগ্রহ করার চেষ্টা করি। এজন্য এ বিলটি অগ্রিম প্রদান করা হয়। যারা পারবে বিল জমা দেবে, যাদের দেয়ার ক্ষমতা নেই তারা পরের মাসেও বিল জমা দিতে পারবে।