কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


শেষ মুহূর্তে নতুন টাকা নিতে ভিড়

ঈদের সেলামি মানে নতুন টাকা। এ কারণে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিবারে মতো গ্রাহকদের নতুন টাকার নোট প্রদান করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে নতুন নোট নিতে গ্রাহকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সুশৃঙ্খলভাবে নতুন টাকা নিতে পেরে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন তারা। তবে ২ টাকা ও ৫ টাকার নোট না থাকায় ক্ষোভ জানান অনেকে। অনেকে আবার ফুটপাতে নতুন টাকার পসরা সাজিয়ে বসা দোকানীর কাছ থেকেই কিনে নেন নতুন টাকা। তবে এজন্য বাড়তি টাকাও গুনতে হয় ক্রেতাদের। ঈদের খুশি আরো রাঙিয়ে তুলতে ঈদ সেলামির প্রচলন অনেকদিনের। ছোটদের ঈদ আনন্দই যেনো জুড়ে থাকে নতুন টাকার সেলামিতে। আর তাই ঈদ এলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বেড়ে যায় নতুন টাকার চাহিদা। একজন নোট প্রত্যাশী বৃদ্ধ তমিজ উদ্দিন বলেন, বাড়িতে নাতি-নাতনি আছে। নতুন টাকা পেলে শিশুরা খুবই খুশি হয়। এজন্যই কষ্ট করে নেয়া। বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে আরেক নোট প্রত্যাশী জমিলা বলেন, ছোট বেলায় তো আমরা পেতাম। এখন ছোটদের আমরা দেই, আনন্দ লাগে। তিনি বলেন, এখন ২ হাজার টাকা নেবো। ১০ টাকার দুইটা বান্ডিল। এখানে পাওয়া যায়, তাই এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে দেয়া হচ্ছে ১০, ২০, ৫০ আর ১০০ টাকার নোট। কালোবাজারি ঠেকাতে ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি। তবে ২ ও ৫ টাকার নোট না দেয়ার অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। একজন বলেন, ২ ও ৫ টাকার নোট দেয়া হচ্ছে না এবার দিচ্ছে ১০ থেকে ১০০ টাকার নতুন নোট।ধাতব মুদ্রার প্রচলন বাড়াতে ২ ও ৫ টাকার নোট এবার ছাপা হয়নি বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়েন থাকায় আমরা ২ টাকার নোট ছাড়ছি না। এ বছর ৩০টি শাখার গ্রাহককে দেয়া হবে নতুন টাকার নোট। যেখানে প্রতিজন গ্রাহক নিতে পারবেন সর্বোচ্চ ১৮ হাজার টাকা। মুন্সিগঞ্জের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ঢাকায় ঈদের কেনাকাটা শেষে গুলিস্তানে এসেছেন নতুন টাকা কিনতে। তিনি বলেন, ঈদে বাচ্চারা নতুন টাকা পেলেই খুশি হয়। ওদের খুশি দেখলে ভালো লাগে। মিজানুর রহমান ১০ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট কেনেন। টাকা বিক্রেতা এক হাজার টাকার নতুন নোটের জন্য ১৫০ টাকা বেশি চাচ্ছেন। সারা বছর সাধারণত নতুন ১০০ টাকার একটি বান্ডিল নিতে ৭০-৮০ টাকা বেশি দিতে হয়। তবে এখন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।গুলিস্তানের টাকা বিক্রেতারা ২, ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট বিক্রি করেন। এক বান্ডিলের নিচে নতুন নোট বিক্রি হয় না। ১০ টাকার এক বান্ডিল নিতে হলে দিতে হবে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা। ২০ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট বিক্রি করছেন ২ হাজার ১০০ টাকায়। ৫০ টাকার এক বান্ডিলে থাকে ৫ হাজার টাকা থাকে। এই এক বান্ডিল নতুন নোট নিতে হলে ক্রেতাকে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। ১০০ টাকার এক বান্ডিল নোট নিতে বাড়তি গুনতে হবে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা।পুরান ঢাকার বাসিন্দা আহাদুজ্জামান ৫ টাকার এক বান্ডিল নতুন নোট নিয়েছেন ৮০ টাকা বেশি দিয়ে। ব্যাংকে না গিয়ে এই জায়গা থেকে কেনার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকে অনেক সময় নতুন টাকা দিতে চায় না। আবার অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয়। আর এখানে এলেই নতুন নোট পাওয়া যায়।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন