রাজ কাপুরের আর কে স্টুডিও চলে গেল প্রমোটারদের হাতে
ভারতের ঐতিহ্যশালী আর কে স্টুডিও প্রমোটারদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে কাপুর পরিবার। অভিনেতা রাজ কাপুরের স্মৃতি বিজরিত আর কে স্টুডিও বিক্রি হয়ে যাওয়ার খবর জানিয়েছে ক্রেতা সংস্থা গোদরেজ প্রপাটিজ। মুস্বইয়ের কাছে চেম্বুরে ২.২ একর জমির ওপর এই আর কে স্টুডিও তৈরি করেছিলেন রাজ কাপুর। গত বছরই ৭০ বছরের পুরনো রাজ কাপুরের স্মৃতি বিজড়িত এ স্টুডিও বিক্রির সিদ্ধান্তের কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন ঋষি কাপুর। মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিল এই আর কে স্টুডিও। রণধীর ও ঋষি কাপুরের পিতা রাজ কাপুর ১৯৪৮ সালে এই আর কে স্টুডিও তথা আর কে ফিল্মসের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আগ (১৯৪৮), বরসাত (১৯৪৯), আওয়ারা (১৯৫১), বুট পলিস, জাগতে রহো, শ্রী ৪২০, পরবর্তীকালে জিস দেশ মে গঙ্গা বহতে হ্যায় (১৯৬০) মেরা নাম জোকার (১৯৭০), ববি (১৯৭৩) সহ অসংখ্য হিট ছবি আর কে ফিল্মসের প্রযোজনায় তৈরি হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন আর কে ফিল্মসের ব্যানারে আর কোনো ছবি নির্মাণ হয়নি। শেষবার ১৯৯৯ সালে ‘আ আব লট চলে’ সিনেমাটি বানিয়েছিলেন ঋষি কাপুর নিজে। মুম্বই মিররকে ঋষি কাপুর জানিয়েছিলেন, কিছুদিন আগেও আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে আর কে স্টুডিওকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে বাস্তবটা হল ফিনিক্স থেকে নতুন করে ছাই ঝেড়ে ফেলে উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। আমাদের কাপুরদের এ বিষয়টির উপর ভীষণ আবেগ কাজ করে। তবে সত্যিটা হল এই আর কে স্টুডিওকে নতুন করে গড়ে তোলায় জন্য যে পরিমান টাকা বিনিয়োগ করতে হতো পরবর্তীকালে এটা থেকে ততটা লাভ হতো না। এমনকি আর কে স্টুডিওতে আগুন লাগার আগেও এটি আমাদের কাছে একটা সাদা হাতি পোষা ছাড়া আর কিছুই ছিল না। খুব কম সিনেমা, সিরিয়ালের জন্যই এই স্টুডিওটা ভাড়া করা হতো। অথচ এটা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার খরচ হচ্ছে অত্যন্ত বেশি। তাই আমাদের অনেক ভেবে চিন্তে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। গত শুক্রবার রিয়েল এস্টেট সংস্থা গোদরেজ প্রপার্টিজের তরফে জানানো হয়েছে, ০.৩৫ মিলিয়ন স্কোয়ার ফিটের এই জায়গায় তৈরি হবে আধুনিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। পাশাপাশি, এখানে শপিং কমপ্লেক্স তৈরি করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে ঠিক কত রুপির বিনিময়ে কাপুর পরিবারের কাজ থেকে এই আর কে স্টুডিও কেনা হলো তা অবশ্য গোপন রাখা হয়েছে। অবশ্য কিছুদিন আগে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, প্রায় ২০০ কোটি রুপির বিনিময়ে কাপুর পরিবার এটিকে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.