চট্টগ্রামে গ্যাস সংযোগ না পেয়ে হতাশায় ভুগছেন ২৫ হাজার গ্রাহক। জামানত নিয়েও গত ৪ বছরে এসব গ্রাহকদের গ্যাস সংযোগ দিতে পারেনি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোমপানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। এ অবস্থায় ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে গ্রাহকদের হতাশা। গ্রাহকরা জানান, নিরাপত্তা জামানত, সিটি কর্পোরেশন, সড়ক ও জনপথ এবং সংযোগ ফিসহ আবেদনকারী ২৫ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ১২৮ কোটি টাকা আদায় করেছে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ। আর আবেদনের ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিশন করে গ্যাস সংযোগ প্রদানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও কেজিডিসিএল ৪ বছরেও কোন গ্যাস সংযোগ দেয়নি।শুধু তাই নয়, গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখায় ঠিকাদাররাও বেকার হয়ে পড়েন। এতে ঠিকাদারের পরিবার পরিজনের উপরও চলছে চরম দৈন্যদশা। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোমপানি লিমিটেড ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির প্রেসিডেন্ট মো. ইকরাম চৌধুরী জানান, অপেক্ষমান গ্রাহকগণ কেজিডিসিএলের অনুমোদন অনুযায়ী প্রচুর অর্থ ব্যয় করে জি.আই.পাইপ দিয়ে অভ্যন্তরীণ পাইপ লাইন নির্মাণ করেছেন এবং কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি সমপাদন করেন। কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে গ্যাস সংযোগ প্রদান না করায় গ্রাহকগণ ঠিকাদারদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, হয়রানি, নাজেহালসহ অপমান ও অপদস্ত করছে। তিনি বলেন, কেজিডিসিএলের তালিকাভুক্ত চার শতাধিক ঠিকাদার নিয়মিত ট্যাক্স প্রদান করে সরকারের রাজস্ব খাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে বছরের পর বছর গ্যাস সংযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখছেন গ্রাহকদের। এ কারণে গ্রাহকগণ ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ঠিকাদারদের হুমকি দিচ্ছে। এ কারণে ঠিকাদারগণ অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার লোক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আর্থিক অনটনে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে তারা। তাই অবিলম্বে দ্রুত চুলা বর্ধিতকরণ কাজ চালু এবং সিরিয়ালে থানা গ্রাহকগণের দ্রুত গ্যাস সংযোগ প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করার জোর দাবি জানান ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ। কেজিডিসিএল ঠিকাদার ও গ্রাহক ঐক্য পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী নেওয়াজ বলেন, কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের কাছ থেকে ১২৮ কোটি টাকা গ্রহণ এবং তাদের সঙ্গে চুক্তি করেও গত ৪ বছর ধরে সংযোগ দেয়নি। তারা চট্টগ্রামে প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। শিগগিরই নতুন সংযোগসহ বর্ধিত চুলায় গ্যাস সংযোগ দেয়ার দাবি জানান তিনি। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.