লোকপ্রশাসন বিভাগকে কলেজে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে বেরোবিতে গণস্বাক্ষর

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

লোকপ্রশাসন বিভাগকে সরকারী কলেজসমুহে স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্তি করে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার চালু এবং সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগটি চালুর   দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।  আজ বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন পরিবারের ডাকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাাসন বিভাগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগ চালু রয়েছে। প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করলেও চাকুরি ক্ষেত্রে তেমন কোন পরিকল্পনা নেই। এছাড়াও সরকারী কলেজ পর্যায়ে এ বিষয়টি না থাকায় বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টিকে কলেজের বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে আসছেন এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগ চালুর দাবি শিক্ষার্থীদের।  বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবু হাসান সোহাগ বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা স্বাক্ষরতা অভিযান শুরু করেছি। প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই বিভাগ থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করলেও চাকরির বাজারে এর অবস্থান অনেক সংকুচিত। এ দাবি পূরণ হলে বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ তৈরি হবে। এ আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি ড. জেব-উন-নেছা বলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগ নেতৃত্ব তৈরী করে। একটি সংগঠন কিভাবে পরিচালিত হয়, সাংগঠনিক আচরণ কেমন হওয়া দরকার, বাজেট কিভাবে তৈরী করা হয়, পাবলিক পলিসি কিভাবে তৈরী করা হয় ইত্যাদি বিষয়ও  লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা শিখে থাকে। যদি কলেজ পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীরাও এ বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পায় তাহলে তারা এ শিক্ষা কাজে লাগিয়ে দেশের অগ্রযাত্রায় আরও বেশি শামিল হতে পারবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দাবিটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছাত্রছাত্রীরা একজোট হয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছে। তাই আমরা একটা কার্যকর উদ্যেগ নিতে যাচ্ছি। আমি ইতিমধ্যে প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতিদের সঙ্গে   যোগাযোগ করেছি। সবাই এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। এখন আমরা সবাই মিলে একটি প্রতিনিধিত্বশীল প্লাটফর্ম তৈরী করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও