গভীরতা বাড়ছে কুদালী ছড়ার
দীর্ঘ দিন থেকে মুমূর্ষু কুদালী ছড়ার প্রাণ ফিরে ছিল গেল বছর। কিন্তু পর্যাপ্ত বরাদ্ধ না থাকাসহ নানা কারনেই পুরোপুরি গভীরতা পেয়ে স্রোতসিনী হতে পারেনি ছড়াটি। তবে ওই যাত্রায় নিজের গতি পথ আর অবস্থান জানান দিতে পেরেছিল। এ সময় ছড়াটি আপন গতি পথ ফিরে পেয়ে তার উপকারিতা ও প্রয়োজনীতায় নিজের আস্থা অর্জনে অনেকটাই সক্ষম হতে পেরেছে। গেল বছরের প্রথমার্ধে শুষ্ক মৌসুমে সংস্কার কাজ করায় বর্ষা মৌসুমে পাওয়া যায় চমকপ্রদ সুফলতা। শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন, মশা মাছি সৃষ্টি না হওয়া, শহরের বাহিরের অংশের আশপাশের কৃষিক্ষেতে পানি নিষ্কাশন, জলাবদ্ধতায় লেগে থাকা কচুরিপানা না জমা ও কৃষিজমিতে সেচ সহায়তা পাওয়ায় ছড়াটির উপকারভোগীরাও বেজায় খুশি। তবে ছড়া পাড়ের কিছু বাসাবাড়ির লোকজন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীরা ময়লা আর্বজনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে ছড়াটিতে ফেলায় তা দ্রুত ভরাট হচ্ছে। শুধু এমন অসচেতনভাবে ময়লা আর্বজনা ছড়াটিতে ফেলায় গত বছরের সংস্কার করা অনেক জায়গাই আবারো ভরাট হয়ে যায়। এছাড়াও নানা কারণে নাব্যতা হ্রাস ও আয়তন কমে যাওয়ায় পুরোপুরি নিজের ঐতিহ্য জানান দিতে পারছে না ছড়াটি। এই দুর্দশা থেকে উদ্ধারে পৌরসভার উদ্যোগে পুনরায় শুরু হয়েছে খনন কাজ। শুরু হওয়া এই খনন কাজটি পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়ে নিজেই তদারকি করছেন পৌর মেয়র। শুরু হওয়া কাজটি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল। শহরের জলবদ্ধতা রোধে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের অন্যতম গতিপথ ও কৃষিক্ষেতের সুফলতা ধরে রাখতে কুদালী ছড়ার গভীরতা বাড়াতে এবছরও দ্বিতীয় বারের মত শুরু হয়েছে এ খনন কাজ। গতকাল বিকেল থেকে শহরের টিভি হাসপাতাল সড়ক এলাকা থেকে কোদালী ছড়া পুনঃখনন কাজের যাত্রা শুরু হয়। শহরের পূর্ব গীর্জাপাড়া ফাটাবিল এলাকায় এসকেভেটর দিয়ে চলছে এ খনন কাজ। বর্ষা মৌসুম আসার আগ পর্যন্ত চলবে এ খনন কাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন তাদের বর্ষা ও শুষ্ক উভয় মৌসুমে তাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা লেগেই থাকত। কিন্তু গেল বছর থেকে তাদের এই সমস্যা অনেকটাই লাগব হয়েছে। গেল বছর ছড়াটি সংস্কারে তেমন একটা জলাবদ্ধতায় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। এবছর আবারো খনন কাজ শুরু হয়েছে তাই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ আর পড়তে হবে না এমনটিই প্রত্যাশা তাদের।