সিলেট-ঢাকা চারলেন সড়কে বদলে দিবে স্থানীয় অর্থনীতি

আমাদের সময় প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:০৪

সিলেট-ঢাকা চারলেন মহাসড়ক বাস্তবায়নের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে আগামী জুন মাসের মধ্যেই। সিলেটবাসীর অগ্রাধিকার দাবির এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়ন ও পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। বদলে যাবে সিলেটের অর্থনীতির চিত্র। কমে আসবে সিলেট-ঢাকা দূরত্ব। শুধুমাত্র এই একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে শিল্পায়নে পিছিয়ে পড়া সিলেটে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটারও সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধির চাকুরি শেষে দেশে ফিরে সিলেট-ঢাকা চারলেন মহাসড়কের স্বপ্ন নতুন করে দেখিয়েছিলেন ড. এ কে আবদুল মোমেন। তার প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালের অক্টোবরে চীনের ‘চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে’ দিয়ে মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজের প্রাক্কলন ব্যয় নিয়ে দরকষাকষিতে একমত না হওয়ায় বাদ পড়ে চায়না হারবার। ২০১৮ সালের শুরুতে নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটির কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত নানা জটিলতায় শুরু হয়নি প্রকল্পের কাজ। পরে ১০ জানুয়ারি মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণে কাজ জুনের মধ্যে শুরুর ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রায় ২১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীত হলে সিলেটের অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সিলেটের মানুষ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৬১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সড়ক নির্মাণ খাতে ব্যয় সমন্বয় ১ হাজার ৩৩৩ কোটি ২০ লাখ ও অবকাঠামো খাতে পৃথকভাবে ধরা হয়েছে ৪৪৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে শুধু প্রাইস অ্যাডজাসমেন্ট ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। এর বাইরেও ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা অনিশ্চিত খাতে ব্যয় (প্রাইস ও ফিজিক্যাল কন্টিনজেন্সি) ধরা হয়েছে। সওজের তথ্যমতে, ঢাকা-সিলেট রুটে ২১৪ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা ছাড়াও উভয় পাশে ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে। এছাড়া পুরো চার লেনের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো সরলীকরণ করা হবে, যাতে ৮০ কিলোমিটার গতিতে যান চলাচল করতে পারে। এছাড়া প্রকল্পটির আওতায় ৩২১টি কালভার্ট, ৭০টি ছোট-মাঝারি সেতু, পাঁচটি রেল ওভারপাস, চারটি ফ্লাইওভার, ১০টি আন্ডারপাস ও ৪২টি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে।জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট চার লেন নির্মাণ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও পরিসেবা সংযোগ লাইন স্থানান্তর বাবদ কোনো ব্যয় অন্তর্ভুক্ত নেই। এজন্য সরকারি অর্থায়নে পৃথক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে পর্যায়ক্রমে ৫ হাজার ১৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে তামাবিল পর্যন্ত চার লেন নির্মাণে ৯৯০ দশমিক ২৭ একর জমি অধিগ্রহণ করবে সওজ।এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি বলেন, সিলেটে প্রতিবছর নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র আবিস্কার হচ্ছে। এতে দেশীয় পর্যটকের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। মহাসড়ক চারলেন হলে সিলেটের পর্যটনের প্রকৃত বিকাশ হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও ঘটবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও