নোট ও গাইড বই নির্ভরতা বাড়ছে শিক্ষার্থীদের মাঝে, যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না
রংপুরে বেশিরভাগ বইয়ের দোকানেই গাইড আর নোট বই কেনার হিড়িক। সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও, কমেনি নোট ও গাইড বই নির্ভরতা। নোট, গাইড আর মুখস্থ বিদ্যা কমাতেই এই সৃজনশীল পদ্ধতি। কিন্তু বাস্তবে তা কতটুকু কার্যকর হয়েছে? শিক্ষাবিদদের মতে, তদারকির অভাবেই বাড়ছে এসব বইয়ের ব্যবহার। ডিবিসি নিউজ।শিক্ষা আইন খসড়ায় আছে কোনো প্রকাশক, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কেবল সহায়ক পুস্তক বা ডিজিটাল শিখন-শেখানোর সামগ্রী প্রকাশ করতে পারবে। কোনো ধরনের নোট বই, গাইড বই বা নকল মুদ্রন, বাধাই, প্রকাশ ও বাজারজাত করা যাবে না।শিক্ষার্থীদের গাইড বই কেনার মূল কারণ হলো পাঠ্য বইয়ের অনেক অনুশীলনী তাদের বোধগম্য নয়।শিক্ষাবর্ষের শুরুতে অনেক শিক্ষার্থীর ভিড় করে বইয়ের দোকানে। তাদের দাবি, পাঠ্য বইয়ের সহায়ক হিসেবে তারা গাইড বই কিনছেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, বোর্ড প্রশ্নের অনেক প্রশ্নই আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না, কিন্তু নোটবই গুলোতে এই প্রশ্নগুলো সহজেই বুঝা যায়। এছাড়া প্রশ্নের ধারাগুলোও ভালোভাবে পাওয়া যায়।রংপুরে বিভিন্ন বইয়ের দোকানে বেশকিছু প্রকাশনীর শ্রেণিভিত্তিক বইয়ের প্যাকেজ সাজিয়ে রাখা হয়েছে। অনেক শিক্ষকই গাইড বই বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও দিচ্ছেন নির্দেশনা।অভিভাবকরা বলেছেন, পাঠ্য বইয়ের অনুশীলনীগুলো ভালোভাবে বুঝার জন্য স্কুল থেকে নোট বই কেনার জন্য বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে। তাই আমাদের ছেলে-মেয়েদের গাইড বই কিনে দেয়া হচ্ছে। সরকারের নজরদারির অভাবেই বাড়ছে নোট ও গাইড বইয়ের ব্যবহার এমনটিই মনে করেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক উমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘সরকার এসব বন্ধে কিছু নীতিমালা করে দিয়েছে, যেমন কোচিং সেন্টার বন্ধ এবং গাইড বই নিষিদ্ধ করা। কিন্তু নীতিমালা করলেও সেই অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।’তবে রংপুরের জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীবের দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে মতবিনিময় ছাড়াও নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে মত বিনিময় করবো। সবাইকে নিয়ে এক সাথে কাজ করবো, যাতে নোট ও গাইড বই নির্ভরতা রোধ করা যায়। এছাড়া আমাদের অভিযানও অব্যাহত আছে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.