আট নৌ রুটের ক্যাপিটাল ড্রেজিং শেষ, ১০ কোটি টন পলি অপসারণ
সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক ৫৩টি নৌ রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং। এ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ২৪ টি রুটে কাজ শুরু করেছে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ইতোমধ্যে ৮টি রুটের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ১৩টি রুটে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ৩৫টি ড্রেজার কাজ করছে। অবশিষ্ট তিনটির কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পুর) ছাইদুর রহমান।তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই সব নৌ রুটে বছরব্যাপী নিবিচ্ছিন্ন ও নিরাপদে কার্গো ও যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং করা হচ্ছে। ২৪ নৌ-পথের নাব্যতার উন্নয়নের মাধ্যমে ১০১৪ কি.মি. নৌ-পথ খনন করা হবে। ফলে এসব নৌরুটে পানি প্রবাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে এসব অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ৯ শত ২৩ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত এ জন্য সরকারের ব্যয় হয়েছে ৮৯৫কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্ত এবছরের আরো ৬টি নৌ রুটের কাজ শেষ হবে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে নির্দিষ্ট সময়েই ২৪ রুটের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।তিনি আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌপথে ৫৩ টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের ১ম পর্যায়ে ২৪ (চব্বিশ) নৌ-পথ খননের কাজ করা হচ্ছে। গত ২০১৬ সাল থেকে শুরু হওয়া এ কাজ আগামী ২০২১ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ২৪ টি রুটের এক হাজার ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ৪৯০ কিলোমিটারের। শত ভাগ শেষ হয়েছে- মংলা ঘোষিয়াখালী- বরিশাল (এমজি ক্যানেল ও গাবখান) ১০২ দশমিক ২৪ লাখ ঘন মিটার, বরিশাল-ঝালকাঠি-পাথরঘাটা (কিত্তনখোলা, খাসদোন) ২৯ দশমিক ৭০ লাখ ঘনমিটার, খুলনা-মনিকদিয়া-গোপালগঞ্জ ভৈরব আত্রাই ও মধুমতি) ৩৮দশমিক ৮৫ লাখ ঘনমিটার, বরিশাল-পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ (বুখাইনগর খাল, কারখানা নদী) ১৪ দশমিক ৭৫ লাখ ঘন মিটার, ভৈরব-লিপসা- ছাতক (সুরমা ও ধনু) ৪৫ দশমিক ১৬ লাখ ঘন মিটার, সৈয়দপুর- –বান্দুরা (ইছামতি) ৭দশমিক ৫০ লাখ ঘনমিটার, মিরপুর-সাভার (কর্ণতলী, ধলেশ^রী) ৭ লাখ ঘনমিটার এবং চাঁদপুর-ইচুলি (লট ১) ডাকাতিয়া ৫ দশমিক ১০ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হয়েছে। ৮টি রুটে ২৫০দশমিক ৩৩ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য ১৩ টি রুটে অপসারণ করা হয়েছে আরো ২৫২ দশমিক ১ লাখ ঘন মিটার পলি। এনিয়ে ২১ টি রুটে পলি অপসারণ করা হয়েছে ৫০২ দশমিক ৪৩ লাখ ঘনমিটার বা ৯দশমিক ৮০ কোটি টন পলি (প্রতি ঘন মিটার সমান ১ দশমকি ৯৫ টন হিসেবে)।তিনি আরো বলেন, নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বধানে একাজ চলছে। ইতোমধ্যে সচিব মো. আবদুস সামাদ বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন। সরোজমিনও পরিদর্শন করে দেখেছেন এসব রুটের ড্রেজিংসহ সার্বিক কার্যক্রম।ছাইদুর রহমান বলেন, যে সব নৌ রুটের কাজ শেষ হয়েছে। সেসব নৌ রুটে এখন পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌ যান চলাচল করছে। পার্শ্ববর্তী এলাকায় সেচ কাজও চলছে। পাশাপাশি পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ান স্থানীয় জনসাধারণের এ নদী থেকে এখন মাছ শিকার কওে নিজেদও চাহিদা মেটাচ্ছেন।