শুকনা মৌসুমে পানির অভাবে ধান চাষে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষা ইউনিয়নের সুরেশ্বর খালের উৎসমুখে ইউ টাইপ ড্রেন নির্মাণ করার ফলে নৌচলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি খালের ভেতর দিয়ে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ঘর-বাড়ি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এছাড়া শুকনা মৌসুমে পানির অভাবে ধান চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ফলে এই এলাকায় খাদ্যসংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা। জানা যায়, জেলাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে একনেকের এক বৈঠকে শরীয়তপুর জেলায় ৫৯টি খাল খননের অনুমোদন দেয়া হয়। এরমধ্যে ঘড়িষা ইউনিয়নের সুরেশ্বর খাল ও মুলগাঁও খাল খনন ও পুনঃখনন এবং নিষ্কাশন প্রকল্পে এক কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। গত বছরের তুন মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তা এখনো খনন কাজ শেষ হয়নি। এদিকে কাজ চলমান থাকা অবস্থায় উন্মুক্ত খালের উৎসমুখে অবৈধ স্থাপনা ও দখলকারী প্রভাবশালীদের তদবিরে সুরেশ্বর দরবার শরিফের সামনে একটি কালভার্ট ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এটি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ হওয়ায় এলজিইডি খালের ওপর এক মি.মি আরসিসি ইউ টাইপ ড্রেন নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে। বর্তমানে ওই স্থানে ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। যদি খালের উৎসমুখ বন্ধ করা হলে ধান চাষ বন্ধ হয়ে যাবে। নৌকা চলাচল করতে পারবে না। তার পরেও ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। এদিকে খাল খননের কাজ বন্ধ থাকার কারণে চলতি বছরেই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের পাঁচ হাজার একর জমি অনাবাদী রয়ে গেছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।