![](https://media.priyo.com/img/500x/https://www.amadershomoy.com/sites/default/files/styles/lead/public/2019-01/Shajan-Khan-Twitter.jpg?h=fadd0d06&itok=h2Y8uSnQ)
শাজাহান খানকে বাদ দেওয়ায় শেখ হাসিনা অনেকের দোয়া পাবেন: প্রভাষ আমিন
সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে নতুন মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দেওয়াতে শেখ হাসিনা অনেকের দোয়া পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও কলামিন্ট প্রভাষ আমিন। সোমবার জাগো নিউজে এসব কথা লিখেছেন তিনি। প্রভাষ আমিনের ভাষায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মন্ত্রীসভা থেকে অনেকে বাদ পড়েছেন বিতর্ক আর পারফরম্যান্সের কারণে। ফেসবুকে একজন লিখেছেন, ‘নতুন মন্ত্রিসভা দেখে যতটা না খুশি হয়েছি, তারচেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছি শাজাহান খানকে না দেখে।’ ‘আসলেই গত ১০ বছর ধরে অসংবেদনশীল নানা কথা আর আচরণে শাজাহান খান একাই সরকারের ভাবমূর্তি তলানিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বার্থের সংঘাতের ধারণাকে দুমড়ে-মুচড়ে নিজের মন্ত্রণালয় ফেলে অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজে নিয়মিত নাক গলাতেন তিনি। এক শাজাহান খানকে বাদ দিয়ে শেখ হাসিনা অনেকের দোয়া পাবেন।’ বিতর্কিত যত মন্তব্য শাজাহান খানের নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। তার মন্তব্য নিয়ে আলোচনার চেয়ে সমালোচনাই ছিল বেশি। সারাদেশে পরিবহন খাতে একের পর এক নৈরাজ্যের পরও বারবার পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষ নেয়ায় তিনি সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হয়েছেন। নানা ইস্যুতে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত শাজাহান খানের পদত্যাগেরও দাবি ওঠে একসময়। তবে নিজের জায়গা ছাড়েননি তিনি। গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর বাস চাপায় দুজন প্রাণ হারায়, আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন। ওই ঘটনা পর হাসিমুখে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে শাজাহান খান বলেন, দুর্ঘটনার জন্য চালকদের সাজা বাড়ানো হলে দুর্ঘটনা কমবে না। তবে দুর্ঘটনা রোধে চালক, পরিবহন মালিক ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা বলেন সাজা বাড়ালেই দুর্ঘটনা কমবে, এই কথার সঙ্গে একমত না। তাহলে দেশে কোনো খুন হত না, খুনের সাজা হলো ফাঁসি। তারপরেও কি খুন বন্ধ রয়েছে?’ চালকদের শাস্তি বাড়ানোর বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে শাহজাহান খান ওই সাংবাদিককে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি বলতে পারেন দুনিয়ার কোথাও দুর্ঘটনা হয় না? সেদিনও তো কয়েকজন, ছয়জন বাংলাদেশি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল আরব কোনো কান্ট্রিতে, সৌদি আরবে। তাহলে সেই দুর্ঘটনায় কী বলবেন? সেখানে কি ড্রাইভারের ফাঁসি হয়?’ সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ সম্ভব নয়, তা কমাতে সব পক্ষের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। ৪ মে ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শুধু চালকদের সচেতন হলে চলবে না, চালকের পাশাপাশি যাত্রী ও পথচারীকে সচেতন হতে হবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কেবলমাত্র চালকদের দোষী বলা ঠিক নয়। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে যাত্রীদেরও খামখেয়ালিপনা থাকে’ বলেন শাজাহান খান। বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ওই খবরে মন্ত্রী আরও বলেন, যোগাযোগ মন্ত্রণালয় যোগ্য চালকদেরই লাইসেন্স দিয়েছে। পরীক্ষার মাধ্যমেই তারা লাইসেন্স পেয়েছেন। তবে দুর্ঘটনা কার হাতে ঘটবে, এটা বলা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গত বছরের ১ মে শাজাহান খান বলেন, ‘উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশে দুর্ঘটনা কম ঘটে। বিভিন্ন স্থানে রাস্তার বাঁকগুলো সরলীকরণ, ফুটওভার ব্রিজ, পাতালপথ নির্মাণের ফলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।