দেশের প্রথম বেসরকারি এলএনজি টার্মিনাল চালু হচ্ছে মার্চে

আমাদের সময় প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:০০

সরকারি এলএনজি টার্মিনাল থেকে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হওয়ার ৬ মাসের মাথায় দেশে প্রথমবারের মতো চালু হতে যাচ্ছে বেসরকারি এলএনজি টার্মিনাল। আগামী মাচ মাসে এই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ টার্মিনাল থেকে জাতীয় গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনে যোগ হবে দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান এই টার্মিনাল (এফএসআরইউ) নির্মাণ করছে সামিট গ্রুপ। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। দেশের গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে মজুদ কমে আসা এবং শিল্প খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রাথমিকভাবে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে দুটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের প্রকল্প নেয়া হয়। এরই মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজারের মহেশখালীতে দেশের প্রথম এলএনজি টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে। কাতার থেকে এলএনজি আমদানি করে টার্মিনালটির মাধ্যমে তা গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট সক্ষমতার গ্যাস এই টার্মিনাল থেকে দেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে মাত্র ২৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।বেসরকারি খাতের এলএনজি টার্মিনালটি নির্মাণ করছে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে এ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। ১৮ মাস মেয়াদি এ প্রকল্পটি গত বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুই দফায় ছয় মাস মেয়াদ পেছালেও এখন পর্যন্ত টার্মিনালটি নির্মাণ শেষ হয়নি। তবে মার্চের মধ্যে এলএনজি টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে  সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন।নির্মাণ-মালিকানা-পরিচালন-হস্তান্তরের (বিওওটি) ভিত্তিতে এ টার্মিনাল স্থাপনের বিষয়ে সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে পেট্রোবাংলা। নিজেরা ১৫ বছর পরিচালনা করার পর পেট্রোবাংলার কাছে টার্মিনালটির দায়িত্ব হস্তান্তর করবে সামিট। টার্মিনালটি নির্মাণে কোম্পানির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয় ৪০-৫০ কোটি ডলার। সূত্র জানায়, উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণ হচ্ছে। সেখান থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে এলএনজি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। এজন্য গভীর সমুদ্রে টার্মিনালের অ্যাংকর, ডিসকানেক্টেবল টারেট মুরিং প্লাগ, নোঙরে ভাসমান বন্ধনীসহ ফ্লেক্সিবল রাইজার, কনট্রোল অ্যান্ড হাইড্রোলিক আমবিলিকাল, পিএলইএম, এফএসআরইউর স্টার্ন মুরিং সিস্টেম, অফশোর পাইপলাইন করতে হচ্ছে। সমুদ্রের বিরূপ আবহাওয়ার কারণে পরিকল্পনা অনুযায়ী অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগছে।এ ব্যাপারে পেট্রোবাংলার পরিচালক (পরিচালন ও ব্যবস্থাপন) প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, সামিট গ্রুপ প্রথমে একটা ডেডলাইন মিস করেছে। তবে এখন তাদের কাজের অগ্রগতি বেশ ভালো। আশা করছি মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে তারা টার্মিনালটি থেকে গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও