লক্ষ্মীপুরে ডিসি-এসপির প্রত্যাহারের দাবি ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও ২ আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী আবুল খায়ের ভূইঁয়া অভিযোগ করে বলেছেন, শুক্রবার রাতে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল,পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন,সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিদের উপস্থিতিতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী একেএম শাহজাহান কামাল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদ ইসলাম পাপুলের সাথে ৩০ ভাগ ভোট কেটে নেয়ার গোপন বৈঠক করেছেন। অনতিবিলম্ভে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল,পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলী,সদর ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসির প্রত্যাহারের দাবি জানান ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা। আজ শনিবার সকালে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর নিজ নির্বাচনী কার্যালয় ও আবুল খায়ের ভূইয়া খিলবাইছার নিজ বাসভবনে পৃথক এ সংবাদ সম্মেনে এ দাবি জানান। এছাড়া গত কয়েকদিন ধরে পুলিশের সহযোগিতায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা,ভাংচুর ও মারধর করাসহ ভোট কেন্দ্র না যাওয়ার ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি ও প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের ধরে নিয়ে যাওয়া এবং গনহারে শতশত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে সাংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন এ দুই প্রার্থী। তারা আরো বলেন, যেভাবে বর্বর নির্যাতন ও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে,এতে প্রতিয়মান হয় যে, লক্ষ্মীপুরে ৪টি আসনের অবস্থায় আবগানিস্তান,ফিলিস্তিন ও সিরিয়াকে হার মানিয়েছে। এসব কাজের সহযোগিতা করছেন প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল ও পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের ফোন দিয়েও কোন লাভ হচ্ছেনা। বরং উল্টো নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। ভোট কাটার পাঁয়তারা করলে তার ফল ভালো হবেনা বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে অবস্থান নিবে। যদি কেউ ভোট কাটতে আসে,তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। কোন রক্ত চক্ষুকে ভয় করেনা বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরবে বিএনপি। এসব নির্যাতন বন্ধ করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য প্রদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।