প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি’র র‌্যালি

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালিতে বিএনপি নেতারা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে হলে রাজপথে আন্দোলনে নামতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। গতকাল বিকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই র‌্যালি শুরু হয়ে শান্তিনগর হয়ে ফের পল্টনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। বিএনপি পৃষ্ঠা ২০ কলাম ১মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই র‌্যালির উদ্বোধন করেন। এ সময় দলটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বেলা আড়াইটায় র‌্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টা থেকেই আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। র‌্যালিতে অংশ নেয়া নেতাকর্মী সমর্থকরা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। বাদ্যযন্ত্র, ধানের শীষের রেপ্লিকা, সাউন্ড সিস্টেম, মাইক, ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা র‌্যালিতে শরিক হন। ঢাকার আশপাশের টাঙ্গাইল, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী জেলা থেকেও নেতাকর্মী, সমর্থকরা র‌্যালিতে অংশ নেন। দুপুর ১২টার দিকে নয়াপল্টন লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।নেতাকর্মীদের ঢলে নয়াপল্টনের পূর্বদিক ফকিরাপুল মোড় থেকে পশ্চিমপাশের নাইটেঙ্গেল মোড় পর্যন্ত সড়ক নেতাকর্মীদের ঢলে বন্ধ হয়ে যায়। র‌্যালি শুরুর আগে নেতার্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমরা কী আবার সেই বাকশালে ফিরে যাবো। কোনো দিনও নয়। আজকে এই সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, ট্যাক্স বাড়িয়েছে। কিন্তু জনগণের কোনো সমস্যার সমাধান তারা করতে পারেনি। ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে গোটা খাতটি ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ১৮ মাস ধরে আটক করে রাখা হয়েছে। ২৬ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দিয়েছে। তারা মনে করেছে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আটক করে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে দমন করতে পারবে। কিন্তু আজকের এই র‌্যালি প্রমাণ করেছে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে তারা দমন করতে পারবে না। এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা দেশনেত্রীকে আটকে রেখে, জনগণকে মামলা দিয়ে, হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসক এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। সেজন্য দেশের সব মানুষকে একত্রিত আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হঠাতে হবে।বিএনপির দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বিএনপি হলো সেই দল, যে দল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমরা যদি দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে চাই, দেশকে মুক্ত করতে চাই, তাহলে আমাদের সবাইকে ত্যাগ স্বীকার করে রাজপথের আন্দোলনে সোচ্চার হতে হবে।স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগার থেকে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে দল পরিচালনা করছেন। আজকে আমাদের একটাই স্লোগান, ‘স্বৈরাচার হটাও, দেশ বাঁচাও’। ‘দেশের মানুষকে বাঁচাও, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করো’।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে আমাদের একটাই দাবি- খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। এই দাবি আদায় করতে হলে আমাদের রাজপথ দখল করতে হবে। আন্দোলন ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার কোনো পথ নেই।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির উপদেষ্টা জয়নাল আবদিন ফারুক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, আব্দুল আউয়াল খান, ঢাকা জেলা সভাপতি দেওয়ান সালাউদ্দিন, তানভীর আহমেদ রবিন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর যুবদল নেতা ওমর ফারুক মুন্না প্রমুখ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও