‘বাংলাদেশে কাজ করে আনন্দ পাচ্ছিলেন বাবা’

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশ থেকে স্টিভ রোডসের বিদায়টা সুখকর হয়নি। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে এবারের বিশ্বকাপের পরপরই প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে স্টিভ রোডসের চাকরিচ্যুতিকে পেশাদারি দৃষ্টিকোন থেকে দেখেন স্বয়ং তার ক্রিকেটার পুত্র। তবে এ নিয়ে তার কণ্ঠে ঝরে হতাশাও। উস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের উঠতি তারকা জর্জ রোডস। তার আরেকটি পরিচয় তিনি বাংলাদেশের সদ্য বিদায়ী কোচ স্টিভ রোডসের পুত্র। গতকাল উরস্টারশায়ারে সংবাদমাধ্যমকে জর্জ রোডস বলেন, ‘বাংলাদেশে কাজ করে আনন্দ পাচ্ছিলেন বাবা। দারুণ সব ক্রিকেটারকে নিয়ে কাজ করাটা উপভোগ করছিলেন। তবে পুরোটাই পেশাদারি বিষয়, এসব নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়।’২০১৬ সাল থেকে ইংলিশ কাউন্টি খেলছেন স্টিভের ছেলে জর্জ। ১৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচও খেলে ফেলেছেন তিনি। মারকুটে ব্যাটসম্যান, দুর্দান্ত ফিল্ডার, কার্যকর অফ স্পিনার। বাবার মতোই নিজের কাউন্টি উস্টারশায়ারের পক্ষে খেলছেন জর্জ। তবে আগামী মৌসুমে তিনি দল পাল্টাচ্ছেন। চলে যাচ্ছেন লেস্টারশায়ারে। কাউন্টি সার্কিটে ইতিমধ্যেই ‘ত্রিমাত্রিক প্রতিভা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন জর্জ রোডস। লেস্টারশায়ারের বোলিং কোচ পল নিক্সন মুগ্ধ তাকে নিয়ে। জর্জকে ‘ত্রিমাত্রিক ক্রিকেটার’ বলছেন এই নিক্সনই। এখন অপেক্ষার পালা, বাবার মতো নিজেকে দারুণ ক্রিকেটার হিসেবে তিনি মেলে ধরতে পারেন কি না।বাংলাদেশে জর্জের সবচেয়ে প্রিয় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তিনি জানেন, সাকিব এই উস্টারশায়ারের পক্ষেই দুই মৌসুম খেলে গেছেন। তথ্যটা তাকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করে। বিশ্বকাপে সাকিবের পারফরম্যান্স তাকে মুগ্ধ করেছে। জর্জ রোডস বলেন, ‘সাকিব আল হাসান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুর্দান্ত এক ক্রিকেটার। সে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেয়।’ সঙ্গে আরও একটি তথ্য তিনি জানিয়ে রাখলেন, ‘বাবার কিন্তু খুব প্রিয় ক্রিকেটার সাকিব। বিশ্বকাপের সময় সাকিবের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে সত্যিই উচ্ছ্বসিত ছিলেন আমার বাবা।’বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য রয়েছে জর্জের শুভকামনা। জর্জ বলেন, ‘গত তিন বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেট আরও এগিয়েছে, এটা দেখে খুব ভালো লাগে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যা অবস্থান, তার থেকে কিন্তু ভালো খেলেছে তারা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিপজ্জনক দল বাংলাদেশ।’ স্টিভ রোডস এই মুহূর্তে উস্টারশায়ারের বাইরে ছুটিতে আছেন। জর্জ জানালেন এ তথ্য, ‘বাংলাদেশ থেকে ফেরার পর কিছুটা হতাশ ছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি পেশাদার। তিনি জানেন, অনেক কিছুই তার হাতে না-ও থাকতে পারে।’ বাংলাদেশের কোচ হিসেবে অনেক কিছুই তার হাতে ছিল না- এটা খুবই সত্যি কথা!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও