কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হাইকোর্টে ফের ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন ফের হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন।  গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওসির পক্ষে আইনজীবী রানা কাওছার এ জামিন আবেদন করেন। এরপর বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। এ দিন আদালতে মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবী রানা কাওছার। তিনি জানান, ওসি মোয়াজ্জেম অসুস্থ। তিনি জামিন পেলে দেশত্যাগ করবেন না। এসব যুক্তিতেই জামিন আবেদন করা হয়েছে। এর আগে গত ১লা জুলাই ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওইদিন আদালতে মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী আহসান উল্লাহ ও আইনজীবী সালমা সুলতানা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গাজী মামুনুর রশীদ। এরপর গত ১৬ই জুন হাইকোর্ট এলাকার বাইরে থেকে গ্রেপ্তার হন ওসি মোয়াজ্জেম। এরপর ১৭ই জুন তাকে আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের (বাংলাদেশ) বিচারক মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেন। কারাগার যাওয়ার পর থেকে এ নিয়ে তিনি দুবার জামিন আবেদন করলেন।গত ২৭শে মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তার মা থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতকে থানায় ডেকে নিয়ে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। গত ৬ই এপ্রিল নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের অনুসারীরা। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ই এপ্রিল মারা যান নুসরাত। ২৯শে মে এ ঘটনায় পৃথক একটি মামলায় তদন্ত শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে ফেনীর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার পরই নুসরাতের জবানবন্দির বিষয়টি সবার সামনে আসে। এ অবস্থায় ১৫ই এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। এই নির্দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬, ২৯ ও ৩১ নম্বর ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও