গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত খামারিরা
ঝিনাইদহে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার ৬ উপজেলার খামারিরা। দেশীয় পদ্ধতিতে খড়, সবুজ ঘাস, দানাদার খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। ভালো লাভের আশায় দিন রাত পরিশ্রম করছে খামারিরা। জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের দেয়া তথ্য মতে এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় কোরবানির জন্য ২৩৭টি খামারে দেশীয়, পাবনাই ষাড়, নেপালি ষাড়, সিন্ধিসহ বিভিন্ন জাতের ৫৫ হাজার ৮৯৬ টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে।জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখন চলছে শেষ মুহূর্তের গরু মোটাতাজাকরণের কাজ। সামনে ঈদুল আজহা, তাইতো বাজার ধরতে দম ফেলার সময় নেই খামারিদের। নিজের ক্ষেতে উৎপাদিত সবুজ ঘাস, বিচালিসহ চিটাগুড় ও নানা ধরনের দানাদার খাবার এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। মোটাতাজাকরণে ব্যবহার করছেন না কোনো ক্ষতিকারক ওষুধ বা ইনজেকশন।ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ বলেন, এ বছর তিনি কোরবানির জন্য ৩৭টি গরু পালন করছেন। গো-খাদ্যের দাম এ বছর একটু বেশি। তবে বর্তমানে গরুর যে বাজারমূল্যে আছে তা যদি স্থিতি থাকে তবে এ বছর কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন তিনি। একই এলাকার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা কোনো প্রকার কেমিক্যাল ও ওষুধ দিচ্ছি না। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার দিয়ে গরু পালন করছি। শৈলকুপা উপজেলার গরু খামারি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় দেশীয় গরুর পালন বেশি করা হয়েছে। দেশীয় গরু বাজারে নিলে তার চাহিদা ভালো থাকে। খাবার কম লাগে তাই লাভও বেশি হয়।তবে ভারত থেকে যদি গরু না আসে এবছর কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন এলাকার গরু খামারিরা। তাদের দাবি দেশের যে পরিমাণ গরু উৎপাদিত হয়েছে তাতে ভারতীয় গরুর কোনো প্রয়োজন পড়বে না। ঈদের আগে যেন ভারত থেকে কোনো গরু না আসে এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাহলে আগামী বছর খামারিরা দেশীয় গরু পালনে ঝুঁকবেন।এ ব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান বলেন, দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণের ফলে ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় ঝিনাইদহের গরুর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ফলে জেলার চাহিদা পূরণ করে অর্ধেকেরও বেশি গরু বাইরের জেলায় বিক্রির আশা করা যাচ্ছে। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যার কারণে খামারিদের লোকসানের আশঙ্কাও করেন তিনি।