ব্যাংক একীভূতকরণে হার-জিতের শঙ্কা ও সম্ভাবনা

জাগো নিউজ ২৪ মো. হারুন-অর-রশিদ প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:১৫

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “সোনার তরী” কবিতায় অসহায় কৃষকের কাছে নৌকা ঠিকই এসেছে। কৃষকের কষ্টে উৎপাদিত ধান নৌকায় সাজিয়েছে থরে বিথরে। আছড়ে পড়া ঢেউয়ের তালে পাল তুলে নৌকা ছুটেছে আপন গন্তব্য। কিন্তু নৌকায় ঠাঁই হয়নি কৃষকের। সব উপার্জন হারিয়ে কৃষকের আক্ষেপ - ‘শূন্য নদীর তীরে/ রহিনু পড়ি-/ যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী’। রবীন্দ্রনাথের নৌকায় কৃষকের ঠাঁই না মিললেও কুবের মাঝির মুক্তির চেষ্টা বিফল করেনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। “পদ্মা নদীর মাঝি” উপন্যাসে কেতুপুরের বাসিন্দা কুবের মাঝি সংকটের আস্তাবল থেকে মুক্তি চায়। ময়নাদ্বীপে মুক্ত জীবনের হাতছানি নিয়ে অপেক্ষা করছে হোসেন মিয়া।


ময়নাদ্বীপের যাওয়ার নৌকায় স্বাগত জানিয়েছে কুবের মাঝিকে। অর্থনীতির সাগরে এক প্রকার ঢেউ তুলেছে ‘একীভূতকরণ/মার্জার এবং অধিগ্রহণ/অ্যাক্যুইজিশন’। কখনো এক ডুবন্ত প্রতিষ্ঠান কিনে জায়ান্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে আরেক প্রতিষ্ঠান। আবার কখনো মুনাফার উচ্চাশায় একের পর এক প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করে নিজেই ডুবেছে ভাঙা নৌকা হিসেবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৫ ইসলামী ব্যাংকের মার্জার বা একীভূতকরণ নতুন ঢেউ সৃষ্টি করেছে। দীর্ঘদিন  শঙ্কা ও উৎকণ্ঠায়  থাকা ওই ৫ ব্যাংকের আমানতকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শেয়ারধারীদের জন্য সম্ভাবনার নৌকা হয়ে হাজির হয়েছে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক।


বিশ্ব বাণিজ্যের মাঠে মার্জার দাবার ঘুঁটির মত। জিতলে বাজিমাত, ভুল চালে হারলে কুপোকাত। হারের আশঙ্কাকে উড়িয়ে ‘মার্জার অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন গেইমে’ পুরোদস্তুর খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন উচ্চাভিলাষী প্রধান নির্বাহীরা। তবে যুদ্ধ, সংঘাত, রাজনৈতিক আগ্রাসন, বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির পরিবর্তন ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই তিন বছর অধিগ্রহণ উন্মাদনা কিছুটা শীতল রেখেছিল বলে ‘গ্লোবাল মার্জার এবং অ্যাকুইজিশন রিপোর্ট-২০২৫’-এ উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্যের ‘বেইন অ্যান্ড কোম্পানি’।


ওই তিন বছর স্থির বাজারের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন কারবারিরা। তবে ২০২৫ সালে অধিগ্রহণ কারবারিরা যেন বিশ্ববাজারে ঝড় তুলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত অন্তত ১০টি সোমবার শুরু হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি কোম্পানির মার্জারের সংবাদ দিয়ে। এজন্য ব্রিটিশ সাময়িকী দি ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে সোমবারকে ‘মার্জার মানডে’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর্থিক ও বাণিজ্যিক তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রুপের (এলএসইজি) এক জরিপে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৬৩টি মার্জার সংক্রান্ত বৃহৎ লেনদেন হয়েছে। প্রতিটি লেনদেন ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিমাণ। এরমধ্যে ৩২টি  কর্পোরেট মেগাডিলেই ৭০০ বিলিয়ন ডলার লেনদেন হয়েছে।


বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরা ডিলের ক্ষেত্রে রীতিমতো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন। আমেরিকার রেল রোড কোম্পানি ইউনিয়ন প্যাসিফিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারে আরেক আমেরিকান কোম্পানি ‘নরফোল্ক সাউদার্ন’ কিনেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম মেগাডিল। এ যাবৎকালে মধ্যে সর্বোচ্চ ৯০ বিলিয়ন ডলারের মেগাডিলে ২০১৯ সালে প্রতিরক্ষা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রায়থিওন কিনেছিল ‘ইউনাইটেড টেকনোলজিস’। বিনোদন প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ার্নার ব্রোস ডিসকোভারি’ ৬০ বিলিয়ন ডলারে কিনতে নেটফ্লিক্স, কোমকাস্ট ও প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স রীতিমতো বাজির টেবিলে চাপড়িয়েছে। স্যামসাং ইলেকট্রনিকস কর্তৃক স্থাপিত ‘মার্জার অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন ইউনিটে’র মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়ান প্রযুক্তি জায়ান্টকে ৭৪ বিলিয়ন ডলারের মেগাডিলের বাজিতে পরাজিত করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও