ডিপিএসের টাকা দ্বিগুণ হবে ৬ বছর ৯ মাসে
দেশের প্রায় সব মানুষই কমবেশি সঞ্চয় করে থাকেন। সঞ্চয়ের শুরুটা হয় সাধারণত মাসে মাসে টাকা জমিয়ে। সোজা কথায়, ব্যাংকের ডিপিএসের মাধ্যমে। একপর্যায়ে সেই ডিপিএসের মেয়াদ শেষ হয়। তখন গ্রাহকের হাতে বেশ কিছু টাকা একসঙ্গে চলে আসে।
এখন সেই টাকা দিয়ে কী করা যায়। পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর বিষয় আছে। সেই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজনে অর্থ ব্যয় করা যেতে পারে। শখও পূরণ করতে পারেন। তবে অতি জরুরি প্রয়োজন না হলে সঞ্চয়ের টাকা চটজলদি ব্যবহার না করাই ভালো। এই টাকা দীর্ঘ সময় সঞ্চয় মাধ্যমে রাখা গেলে একসময় বড় অঙ্কের টাকা পাওয়া সম্ভব।
বিষয়টি হলো বিশেষ প্রয়োজন মেটানোর জন্য মাসে মাসে কিছু টাকা জমিয়ে রাখা গেলে ডিপিএসের টাকায় বা মূল সঞ্চয়ের টাকায় হাত দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয় না।
এখন ধরা যাক, ডিপিএস মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনো গ্রাহক হাতে পাঁচ লাখ টাকা পেলেন। এখন সেই টাকা তিনি কোথায় বিনিয়োগ করবেন, সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। দেশে শেয়ারবাজারের যে অবস্থা, তাতে অনেকেই সেখানে বিনিয়োগ করার সাহস পান না। সে ধরনের সাবধানী সঞ্চয়কারীদের জন্য দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম দিচ্ছে। অর্থাৎ আপনি যত টাকা একবারে রাখবেন, মেয়াদ শেষে তার দ্বিগুণ অর্থ ফেরত পাবেন।
রূপালী ডাবল বেনিফিট স্কিম
দেশের অন্যতম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক রূপালী ব্যাংকের আছে তেমন একটি স্কিম। এর নাম রূপালী ডাবল বেনিফিট স্কিম। এটি মেয়াদি আমানতভিত্তিক সঞ্চয় প্রকল্প। ন্যূনতম এক লাখ টাকা থেকে শুরু করে দুই লাখ, তিন লাখ, চার লাখ, পাঁচ লাখ বা তার চেয়েও বড় অঙ্কের টাকা একবারে রাখা যায়।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- সঞ্চয়
- ব্যাংক আমানত