শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন শরিফ ওসমান হাদি। হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী অবস্থানের কারণে তিনি হয়তো আশঙ্কা করেছিলেন, যে কোনো মুহূর্তে তার জীবনাবসান হতে পারে। তিনি এমনও বলেছেন, ‘আমি তো ভীষণভাবে প্রত্যাশা করি, কোনো একটা বিপ্লবে, কোনো একটা মিছিলে আমি সামনে আছি, একটা বুলেট এসে বিদ্ধ হয়ে গেছে আমার মাথায়, আমি হাসতে হাসতে শহীদ হয়ে যাচ্ছি।’
তার কথাই যেন বাস্তবে ফলে গেল। তিনি মাথায় গুলিবিদ্ধ হলেন এবং তারপর মারা গেলেন। একজন মানুষ কত সাহসী হলে ‘অকাল মৃত্যু’র আশঙ্কা আছে জেনেও নিজ আদর্শ ও সংগ্রাম থেকে পিছু সরে যাননি। তিনি তার স্বভাবসুলভ তেজোদীপ্ত কণ্ঠে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে গেছেন। ওসমান হাদি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সাহসী নেতা ছিলেন। স্বৈরাচারের পতনের পর থেকে গত দেড় বছর, হাদি তার কথা ও কাজের মাধ্যমে এদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এমনভাবে সবাইকে উজ্জীবিত করেছিলেন, তার মৃত্যুতে পুরো দেশ শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে।