শীতকাল সত্যিই সুন্দর। বাতাস ঠান্ডা, দিন ছোট এবং সূর্যালোক সীমিত। তবে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সর্দি, কাশি এবং ফ্লুর মতো মৌসুমী সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা, শুষ্ক বাতাস এবং বাড়ির ভেতরে বেশি সময় কাটানো- এই সবকিছুই আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়ায়। কম সূর্যালোকের অর্থ ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম, অন্যদিকে ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাসের কারণে নাক এবং গলা শুকিয়ে যেতে পারে, যার ফলে ভাইরাস প্রবেশ করা সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী করবেন-
১. ভিটামিন সি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কথা এলে ভিটামিন সি-এর কথা প্রথমেই মনে আসে। এটি সহজাত এবং অভিযোজিত উভয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি কোষের ক্ষতি সীমিত করার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে এবং কোলাজেন সংশ্লেষণে সহায়তা করে, যা রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরের শারীরিক বাধা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
খাদ্য উৎস: সাইট্রাস ফল, পেয়ারা, আমলকি, বেল পেপার, ব্রোকলি।
২. ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি-এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এমন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড উৎপাদনে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জড়িত কোষের কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে। ভিটামিন ডি সুস্থ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম বজায় রাখতেও ভূমিকা পালন করতে পারে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শীতকালে সূর্যালোকের সংস্পর্শে কম থাকলে কেবল সূর্যের সংস্পর্শে এসে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই কারও কারও জন্য পরিপূরক গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
খাদ্য উৎস: দুধ, ডিম, চর্বিযুক্ত মাছ।