সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা গণতন্ত্র ও ভবিষ্যতের জন্য হুমকি: জোনায়েদ সাকি ‍

ডেইলি স্টার প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:২৪

দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভবিষ্যতের জন্য গুরুতর হুমকি।


আজ রোববার দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয় পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।


সাকি বলেন, সংবাদমাধ্যমের ওপর এই হামলা পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিদের সহিংস প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা, যারা জুলাই আন্দোলনের পর একটি গণতান্ত্রিক ও সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে উঠতে দিতে চায় না। এই শক্তিগুলো দেশের মধ্যে ভয় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, যেন দেখানো যায় বাংলাদেশ তাদের ছাড়া চলতে পারে না।


শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে সাকি বলেন, ওসমান হাদি মারা গিয়েছেন, কারণ তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ব্যাহত করার প্রচেষ্টা। যখন পুরো দেশ ওসমান হাদির হত্যায় শোক ও প্রতিবাদ প্রকাশ করছিল, তখন কিছু গোষ্ঠী জনগণের ক্ষোভকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে গণমাধ্যমের ওপর হামলা চালায়।


সাকি বলেন, আমরা দেখেছি সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কার্যালয়েও হামলা হয়েছে। এগুলো জুলাই আন্দোলনের সময় গড়ে ওঠা একতা ভাঙার চক্রান্ত। সাকি সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশে আবারও বিভাজনের রাজনীতি চালুর চেষ্টা, যা অতীতেও দেশের ক্ষতি করেছে এবং সামনে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধা দেবে।


তিনি বলেন, নাগরিকদের রাজনৈতিক মতামত ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু সবাইকে বাংলাদেশে একসঙ্গে বসবাস করতে হবে। আর যারা অপরাধ করেছে, তাদের ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করতে হবে।


সাকি আরও অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনের সময় এবং পরে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত অনেকেই ভারতে আশ্রয় নিয়েছে এবং সেখান থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং সহিংসতা রোধে ব্যর্থ হয়েছে। হত্যাকারীরা পালিয়ে যাচ্ছে আর নতুন হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এটি সরকারের বড় ব্যর্থতা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও