ফুলকপি দুই টাকা কেজি!

যুগান্তর বগুড়া সদর প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৭

বগুড়া জেলার সর্ববৃহৎ কাঁচা-শাক সবজির মহাস্থান হাট শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। পুরো হাটজুড়ে সবুজ শাক সবজিতে ঠাঁসা। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ভালো দামের আশায় তাদের উৎপাদিত সবজি বিভিন্ন যানবাহনে এই হাটে আনেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ও ছিল অনেক বেশি। কিন্তু হাটে কাঙ্ক্ষিত দাম না থাকায় শীতকালীন সবজির এ ভরা মৌসুমে কৃষকরা লোকসান গুণছেন। চাহিদার তুলনায় প্রচুর আমদানি, ক্রেতা সংকট ও মজুতের সুবিধা না থাকায় বাধ্য হয়ে টাটকা শাকসবজি কম দামে বিক্রি করছেন। এতে উৎপাদন খরচ না ওঠায় কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।


মহাস্থান হাট ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা থেকে ১২০ টাকা মন (৪০ কেজি)। যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল, ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। মুলা ৪০০-৬০০ টাকা মন। যা গত সপ্তাহে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা মন দরে বিক্রি হয়েছে। পাতাকপি প্রতি পিস সাত টাকা থেকে ১৫ টাকা। সিম প্রতি কেজি ১৬ টাকা, করলা কেজি প্রতি ৩০ টাকা কমে ৪০ টাকা। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পাতা পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, মিষ্টি লাউ কেজিতে সাত টাকা কমে ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


এছাড়া হাটে নতুন আলুর আমদানি বাড়ায় দরপতন শুরু হয়েছে। নতুন আলু জাতভেদে ৫০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা। পাকা টমেটো ৭০ টাকা, কাঁচা টমেটো ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা কেজি। ধনিয়া পাতা ২০ টাকা কমে ১০ টাকা আঁটি। পেঁয়াজের ফুলকা কেজিপ্রতি ৫০ টাকা কমে ১০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে রঙিলা জাতের বেগুনের দামে গত সপ্তাহের চেয়ে মনপ্রতি ২০০ টাকা বেড়ে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে।


বগুড়া সদরের লাহিড়িপাড়ার কৃষক সিরাজুল ইসলাম, চন্ডিহারার লুৎফর রহমান, তেলিহারার মিজানুর রহমান বলেন, ফুলকপি দুই সপ্তাহ আগে ১২শ টাকা মন দরে বিক্রি করেছেন। গত সপ্তাহে ছিল, ২৫০-৩০০ টাকা মন। শুক্র ও শনিবার ওই ফুলকপি বিক্রি করেছেন, প্রতি মন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। কৃষকরা দাবি করেন, এ দরে বিক্রি করায় তাদের উৎপাদন খরচ, পরিবহণ খরচ ও মজুরি উঠবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও