লোকসান কমেনি, বেড়েছে সিস্টেম লস, নবায়নযোগ্য বিদ্যুতেও নেই অগ্রগতি
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ২০০৭-০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ছিলেন। ওই সময়ে দেশে রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যাত্রা শুরু। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশেষ আইন প্রণয়ন করে কুইক রেন্টাল ও ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারের (আইপিপি) মাধ্যমে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় দেশে চাহিদার বিপরীতে সামঞ্জস্যহীনভাবে বাড়ানো হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত বিদ্যুৎ খাতের চুক্তি পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে চার গুণ, বিপরীতে ব্যয় বেড়েছে ১১ গুণ।
এতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) আর্থিকভাবে চূড়ান্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে অনেকগুলো অস্বচ্ছ চুক্তিও হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বিদ্যুৎ খাতকে বিগত সরকারের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে মূল্যায়ন করে। যদিও গত এক বছরের বেশি সময়ে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিপিডিবির লোকসান কমেনি। সিস্টেম লস আরো কিছুটা বেড়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্বের প্রতিশ্রুত শূন্য কার্বন নিঃসরণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে আগামী সপ্তাহে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সংস্কারের পরিকল্পনা ও অগ্রগতির চিত্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার সামনে উপস্থাপন করা হবে।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- লোকসান