ইউরিন ইনফেকশন নেই, তবু কেন প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করে
প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা কিটকিট করা অনেকের দৈনন্দিন জীবনে বড় ধরনের অস্বস্তির কারণ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সময় জ্বালা করলে অনেকে ধরে নেন, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) বা মূত্রনালির সংক্রমণ হয়েছে। অনেকে কোনো পরীক্ষা–নিরীক্ষা না করে নিজে নিজে বা দোকানির পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে শুরু করেন। আদতে প্রস্রাবের কালচার টেস্ট না করে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত নয়। কারণ, কালচার পরীক্ষায় অনেক সময় দেখা যায়, কোনো ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনই নেই। তার মানে অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া হয় এতে। সংক্রমণ ছাড়াও বিভিন্ন শারীরিক ও পরিবেশগত কারণ প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার জন্য দায়ী হতে পারে। বিস্তারিত জানুন।
ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা
শরীরে পানি কম থাকলে মূত্র স্বাভাবিকের তুলনায় ঘন হয়ে যায়। ঘন মূত্রে অ্যাসিডিটি বাড়ে, যা মূত্রনালির দেয়ালে জ্বালা সৃষ্টি করে। তখন প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ থেকে বাদামি হয়, দুর্গন্ধ হয় ও সামান্য পরিমাণে বারবার প্রস্রাবের চাপ হয়। তাই পানিশূন্যতা দেখা দিলে প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে, যা প্রচুর পানি খাওয়ার পর চলে যায়।
খাদ্য ও পানীয় থেকে প্রতিক্রিয়া
- কিছু খাবার মূত্রনালিকে উত্তেজিত করে। যেমন—
- অতিরিক্ত ঝাল ও ভাজাপোড়া খাবার।
- কফি, চা, কোমল পানীয়।
- অ্যালকোহল।
- টমেটো ও লেবুজাতীয় খাবার।
- এসব খাবার প্রস্রাবে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে জ্বালাপোড়া বাড়াতে পারে।
সাবান, সুগন্ধি বা রাসায়নিকের প্রতিক্রিয়া
বেশি সুগন্ধিযুক্ত সাবান, বডি ওয়াশ, টয়লেট টিস্যু, স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ফেমিনিন ওয়াশে থাকা রাসায়নিক উপাদান যোনিপথ বা মূত্রনালিতে জ্বালা, চুলকানি, লালচে ভাব সৃষ্টি করতে পারে।
যৌনমিলনের পর
যৌনমিলনের সময় ঘর্ষণ, লুব্রিকেশনের অভাব বা শুষ্কতার জন্য যোনিপথে মাইক্রো ইনজুরি হতে পারে। এসব মূত্রনালিতে অস্থায়ী প্রদাহ সৃষ্টি করে। এটি আবার ‘হানিমুন সিস্টাইটিস’ নামে পরিচিত, যদিও সংক্রমণ না–ও থাকতে পারে।