সেই যে আমার নানা রঙের উলগুলি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৩

শীতকাল কবে আসবে? কবি ভাস্কর চক্রবর্তীর সুপর্ণা এ প্রশ্নের উত্তর এখন জানেন কি না, জানা নেই। জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। বর্ষাকালে আর বৃষ্টির দেখা মেলে না। জলে ভাসে না করঞ্জা ফুল। শীতেও ভ্যাপসা গরম। শুধু ঋতুর নিয়ম মেনে মৌসুমি ফুলগুলো ফোটে আর ঝরে ঝরে পড়ে। তবু কোথাও না কোথাও তো শীতের জন্ম হয়! ধীরে হলেও নেমে আসে হিম হেমন্তের এই অগ্রহায়ণে। এবারের হেমন্তে হালকা হিম জানান দিচ্ছে, হাওয়া বদল হচ্ছে; আর হুতাশ করতে হবে না। ফিরছে শীতের আমেজ।


ক্যালেন্ডারে শীত আসার আগেই প্রকৃতিতে শীতের রং লেগেছে। ঝুপ করে নেমে আসছে সন্ধ্যা, হিমের চাদর জড়িয়ে নিচ্ছে আকাশ। মাঠ, ঘাস আর রাতে ফোটা শিউলি ফুল সকালের শিশিরে জবুথবু। জবুথবু হয়ে আছে পথের ধারে ফোটা ছোট্ট নীল ফুলের হাসি, তার নাম জেনেছি কানাইবাঁশি। আসলে ফুল ফোটাবে বলেই বৃষ্টিহীন দিনে বুনো গাছ ভিজিয়ে দিয়ে যায় শিশিরের কণা।


আচ্ছা এই যে কুয়াশা, শিশির আর শিরশিরানি—এসবই কি হেমন্তের নিজস্ব? শীতের কাছে কি তার কোনো ঋণই নেই? আবার এ কথাও তো ঠিক, হেমন্ত আছে বলেই না শীতের এত আড়ম্বর। আর তা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।


ধুলা ঝেরে বাইরে এসেছে তোরঙ্গ। রাগ-অভিমান নয়, তবু এত দিন যাদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল, এই হিম দিনে ‘সমারোহে এসো’ বলে বের করা হচ্ছে শীতের নানা রঙের পোশাক। গায়ে জড়ানোর আগে বাড়ির ছাদ ও উঠানগুলোতে রোদ পোহাচ্ছে নানা রঙের উল।


আমার মায়ের ছিল টিনের তোরঙ্গ। এই তোরঙ্গ বাইরে এলেই বোঝা যেত, শীত সমাসন্ন। তোরঙ্গ খুলতেই বেরিয়ে আসত ন্যাপথলিনের গন্ধমাখা ছোটবেলার সোয়েটার, গায়ে দেওয়ার জন্য পরে আর কোনো দিন যার ডাক পড়েনি। বেরিয়ে আসত ঠাকুরমার বোনা পুরোনো কাঁথা। ঠাকুরমা নেই, তবু প্রতি শীতে একবার কাঁথায় মা ছুঁয়ে নিতেন তাঁর মায়ের আঙুল।


তোরঙ্গের একদম নিচে পাট করা থাকত বাবার তরুণ বয়সের মাফলার আর চাদর। ওই মাফলার ও চাদর কখনো রোদ পেত না, পেত আদর। তোরঙ্গ থেকে বের করে গলা ও গায়ে জড়িয়ে আবার গুছিয়ে রেখে দিতেন পরের শীতে নেড়ে দেখার জন্য। এমনই প্রেম আর ম্যাজিক নিয়ে আসত শীতকাল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে