বাড়ি, গাড়ি কেনাসহ ব্যক্তিঋণ বেড়েছে ২৬%
দেশের ব্যাংক খাতে পুরোনো ঋণ কমবেশি পরিশোধ হচ্ছে, কিন্তু নতুন ঋণ বিতরণ কমে গেছে। বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, নির্মাণ ও পরিবহনসহ প্রায় সব উৎপাদনমুখী খাতে ব্যাংকঋণের স্থিতি কমেছে। এতে বেসরকারি বিনিয়োগে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বহু কারখানা বন্ধ হয়েছে। ফলে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর শেষে সব মিলিয়ে চলতি বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তবে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ উৎপাদনমুখী খাতগুলোর অবস্থা খারাপ হলেও ভোক্তা ঋণ বাড়ছে দ্রুতগতিতে। গত জুনে ভোক্তা ঋণে ২৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মানুষ সংসার চালাতে ব্যক্তিগত ঋণের ওপর নির্ভর করছেন, পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ডে ব্যয়ও বাড়ছে। গাড়ি ও বাড়ি কেনার ঋণেও কিছুটা প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এ নিয়ে ব্যাংকাররা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কেউ বলছেন ভোক্তাঋণে খেলাপির হার তুলনামূলক কম, তাই ব্যাংকগুলো এই খাতে নজর বাড়িয়েছে। ফলে ব্যক্তিগত ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডে ঋণ বাড়ছে নিয়মিত। আবার কেউ মনে করেন, ঋণ বাড়ার পাশাপাশি আদায় না হওয়ায় স্থিতি বেড়েছে। আগের নিয়মে দুই বছর খেলাপি না হলে ঋণ অবলোপন করা যেত না, এখন তা করা যাচ্ছে। এতে হিসাবের স্থিতি বাড়লেও প্রবৃদ্ধি সামনের ডিসেম্বরে কমে আসতে পারে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকার ব্যক্তিগত ঋণ, ৬০ লাখ টাকার গাড়িঋণ এবং ২ কোটি টাকার আবাসন ঋণ নিতে পারেন। এগুলো মিলেই ব্যাংক খাতে ভোক্তা ঋণের হিসাব করা হয়। এসব ঋণের সুদহার এখন ১১ থেকে ১৪ শতাংশ। তবে ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পড়ে।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- ঋণ বিতরণ
- ব্যাংক খাত