সরকারি পে স্কেলে এই সব সংস্কার কেন হবে না

প্রথম আলো সুবাইল বিন আলম প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ২০:২৩

এখন প্রায় দিন কোনো না কোনো পত্রিকাতে সরকারি পে স্কেল নিয়ে প্রতিবেদন বা মতামতমূলক লেখা থাকে। এরই মধ্যে আমরা জেনে গেছি, এই সরকার পে কমিশন বাস্তবায়ন করবে না।


আমরা জানি, সরকারি অনেক তথ্যই গোপন রাখতে হয়। কিন্তু এই একটা কমিশনের কাজ মনে হচ্ছে সবাইকে জানিয়ে করা হচ্ছে, যাতে সরকার চাপে থাকে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে এবার বেতন বাড়ার প্রস্তাবনা থাকবে ৮০-১০০ শতাংশ। কিন্তু এভাবে সনাতন পদ্ধতিতে বেতন বাড়ালে এই ব্যবস্থা কি টেকসই হবে?


সিটিজি এবং পারফরম্যান্সভিত্তিক কেন হচ্ছে না


বেসিকভিত্তিক বেতনকাঠামো এখন কোনো দেশে নেই। আমাদের সরকারি কর্মচারীদের বেতন জিজ্ঞেস করলেই বলবেন, আমাদের বেসিক বেতন এত, এই টাকাতে কীভাবে চলি? আসলেই বেসিক কম দেখায়। কিন্তু ওই টাকার সঙ্গে যে ভাতা পান, তা কি বেতন না?


বিশ্বজুড়েই বেতনকাঠামো করা হচ্ছে সিটিসি বা কস্ট টু কোম্পানি কনসেপ্টে। এখানে হবে সিটিজি মানে কস্ট টু গভর্নমেন্ট। যেমন কোম্পানিতে সিটিসি, তেমনি সরকারে সরকারের মোট ব্যয় হিসাব। একজন চাকরিজীবী সারা বছর মোট যে পরিমাণ বেতন–ভাতা এবং সুবিধা পান, তা এক মাসে নিয়ে আসা। আমি নিচে একটা ড্রাফট উদাহরণ দিচ্ছি।


তাহলে একজনের যদি বেসিক ৪০ হাজার হয়, তাঁর পুরো বেতন যা সরকার দিচ্ছে বা আমরা ট্যাক্স থেকে দিচ্ছি, তার সিটিজি ৯০ হাজারের কাছাকাছি হবে। আমাদের প্রতিটি সরকারি কর্মচারীর পেছনে সরকারকে কত মাসে বাস্তবে কত দিতে হচ্ছে, তা অন্যান্য সব দেশের মতো আধুনিক করতে হবে। এর ফলে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে ও কর্মচারী তাঁর মোট প্রাপ্তি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন, যা ‘বেসিক কম, ভাতা বেশি’ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে, যা আসলে পুরোটাই বেতন।


ভারতের সপ্তম পে কমিশন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল, কিন্তু সেখানে সিটিসি ফরম্যাটে স্বচ্ছ ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা হয়। এবং এখনকার চাকরি চুক্তিভিত্তিক। পারফরম্যান্স যোগ্যতা ও দক্ষতা ধরে রাখতে না পারলে নতুন কেউ আসবে।


সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণে পারফরম্যান্সভিত্তিক অ্যালাউন্স বা ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে, যা বাংলাদেশে নেই। ইনক্রিমেন্ট কখনো কারও জন্য আজীবনের জন্য নির্দিষ্ট হতে পারে না। হতে হবে পারফরম্যান্সের ওপর। এটা অনেক দেশেই হচ্ছে। শুধু আমরা ব্যতিক্রম। যুক্তরাজ্যের মতো স্যালারি ট্রান্সপারেন্সি পোর্টাল বানালে কেউ আর ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।


বেতনের সংকুলানের চাপ আমাদের ওপর কেন আসবে


আমাদের এতগুলো সরকারি অফিস, কিন্তু বেশির ভাগই নিজের আয় নিজেরা না করে সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বেতন, ভাতা ও পেনশন খাতে বরাদ্দ প্রায় ১ দশমিক ৫৮ ট্রিলিয়ন টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ। আমাদের উচ্চ অপারেশন খরচ বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় প্রথম দিকে থাকবে। অপারেশন খরচের ভার বহন করতে গিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা, উন্নয়ন, পরিবেশ, শিক্ষা, নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় খাতগুলোতে আমরা খরচ জোগান দিতে পারছি না। ফলে সব ক্ষেত্রেই দেশের সূচক নেমে যাচ্ছে।


নিজেরা আয় না করাতে এই টাকা সরকারের নিজের আয় থেকে দিতে হচ্ছে। এমনকি অনেক সময় সরকারের ধার করে দিতে হচ্ছে। এমনকি এই বিশাল খরচ জোগানোর জন্য যে পরিকল্পনা হচ্ছে, তা–ও সরকারি তিনটা খাতের সংস্কার বা খরচ কমিয়ে জোগানের কথা বলেছে, যা আসলে অন্য খাতকে আটকে দিয়েই হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও