আর তর্কবিতর্ক নয়, নির্বাচন নিয়ে মনোযোগী হোন এবার

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:৪৩

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিত্ব, গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে একটা ভারসাম্যপূর্ণ সমাধানসূত্র দিয়েছেন বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন। কেউ কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। কিন্তু এর চেয়ে উত্তম কোনো প্রস্তাব তাঁরা দিয়েছেন বলে মনে হয় না।


সমস্যা হলো আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এতটাই পরস্পরের প্রতি সন্দিহান যে তারা নিজের ভালোটাই বেশি বোঝে। অন্যের মত ও দাবিদাওয়া আমলে নিতে চায় না। ইতিমধ্যে একাধিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার আগে জুলাই সনদ নিয়ে কোন দলের কী অবস্থান ছিল, সেটা উল্লেখ করা যাক। 


জামায়াতে ইসলামী ও এর সহযোগীদের প্রধান দাবি ছিল উচ্চকক্ষে আনুপাতিক হারে ভোট হতে হবে, যাঁরা জামায়াতের রাজনীতির চরম বিরোধী, তাঁরাও আনুপাতিক হারে ভোটকে সমর্থন করেছেন। তবে জামায়াত চায় প্রাপ্ত ভোটের হিসাবে আর বিএনপি চায় প্রাপ্ত আসনের হিসাবে। 


অন্যদিকে বিএনপি প্রথমে গণভোটের দাবি না মানলেও পরে মেনে নিয়েছে এই শর্তে যে গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একই দিনে হতে হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চাওয়া ছিল, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি সাংবিধানিক আদেশ জারি করতে হবে এবং সেটি পাস করার জন্য জাতীয় সংসদকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, প্রধান উপদেষ্টা তিন পক্ষের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে একটা আপস ফর্মুলা দিয়েছেন। এখানে মৌলিক পরিবর্তন হলো আনুপাতিক হিসাবে উচ্চকক্ষের নির্বাচন। এটি একবার কার্যকর হলে সেটি ভবিষ্যতের সব নির্বাচনের জন্যই প্রযোজ্য হবে। কিন্তু জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির পর গণভোটের গুরুত্ব থাকবে না। তৃতীয়ত, এনসিপির দাবি অনুযায়ী, জুলাই সনদে বর্ণিত বিষয়গুলো আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পর সংবিধান সংস্কার পরিষদেরও অস্তিত্ব থাকবে না; অন্যান্য সংসদের মতোই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ কাজ করবে।  


সে ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষে আনুপাতিক হারে নির্বাচনব্যবস্থাই মৌলিক পরিবর্তন বলে মনে করি। যাঁরা এই ব্যবস্থার দাবিতে মাঠে আন্দোলন করছেন, তাঁরা আগামী নির্বাচনে জনগণের রায় পেলে নিম্নকক্ষেও এটি কার্যকর করতে পারবেন।


এরপরও জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের নিন্দা জানানো এবং একটি দলকে খুশি করার অভিযোগ আনার পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে কি না, সেটাই প্রশ্ন। একই অভিযোগ বিএনপি ও তার মিত্ররাও আনতে পারে। তারা শুরুতে গণভোটের পক্ষে না থাকলেও সমঝোতার স্বার্থে এটি মেনে নিয়েছে।


এখন জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগীরা যদি সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোট না মানে, তাহলে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে? সরকারকে নতুন করে ফের শুরু করতে হবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।


গণভোটের সময় নিয়ে জামায়াত যে যুক্তি দেখিয়েছে, সেটা যৌক্তিক নয়। গণভোটের প্রতি যদি মানুষের সমর্থন থাকে, সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট দিতে পারবেন। এখানে মূল সমস্যা হলো চারটি বিষয়ের প্রতি হয় তাদের সমর্থন জানাতে হবে, না হয় পুরোটা নাকচ করতে হবে। বরং নির্বাচনের আগে গণভোট হলে ভোটারদের উপস্থিতি আরও কম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও