চল্লিশের পর সকালের নাস্তা থেকেও বাড়তে পারে ওজন
চল্লিশ পেরোনোর পর হঠাৎ করেই অনেকে লক্ষ্য করেন, আগের মতো খাওয়াদাওয়া করলেও শরীরে বাড়তি মেদ জমছে। খাদ্যাভ্যাস ঠিক আছে, ব্যায়ামও হচ্ছে, তবু ওজন যেন কমছেই না।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পুষ্টিবিদ সারাহ গ্যারোন মনে করেন, এর মূল কারণ হতে পারে নাস্তার কিছু ছোট তবে গুরুত্বপূর্ণ ভুল।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপাকক্রিয়া ধীরে চলে, ফলে শরীর একই খাবার থেকে বেশি ক্যালোরি জমা করে।
চল্লিশের পর নাস্তা শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, বরং দিনভর শরীরকে সঠিকভাবে জ্বালানি জোগাতে সাহায্য করার জন্য হতে হবে ভারসাম্যপূর্ণ।
নাস্তায় বাড়তি ক্যালোরি বা চিনি নেওয়া মানে ওজন বাড়ানোর পথ খুলে দেওয়া।
পরিমাণে হিসাব না রাখা
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ক্যালোরির প্রয়োজন কমে। তবে অনেকেই আগের মতোই বড় প্লেট ভর্তি নাস্তা খান।
সারাহ গ্যারোন ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “যে কোনো বয়সেই খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তবে চল্লিশের পর এটা আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময় শরীর ক্যালোরি পোড়াতে কম সক্ষম হয়।”
তিনি পরামর্শ দেন, “চোখের আন্দাজে না খেয়ে মাপজোখ করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। যেমন- দুধ, সিরিয়াল বা ওটমিলের পরিমাণ মাপার কাপ ব্যবহার করতে হবে। এই ছোট পরিবর্তনও ওজন নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখে।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়া
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল নিউট্রিশন সেন্টার’য়ের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় নাস্তায় সবচেয়ে বেশি চিনি খাওয়া হয়। যেমন- মিষ্টি পেস্ট্রি, সিরিয়াল বা প্যানকেক।
গ্যারোন বলেন, “এই ধরনের খাবারে থাকা সরল শর্করা দ্রুত শক্তি দিলেও তা অল্প সময়েই শেষ হয়ে যায়। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ক্ষুধা লাগে।”
তিনি বলেন, “সকালে চিনি–সমৃদ্ধ খাবারের বদলে আঁশ ও প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। যেমন- ডিম, ওটস, বাদাম, দই, কিংবা শাকসবজি দিয়ে তৈরি অমলেট। এসব খাবার ধীরে হজম হয়, ফলে দীর্ঘসময় পেট ভরা অনুভূতি বজায় থাকে।"
প্রোটিনে ঘাটতি রাখা
অনেকে মনে করেন সকালে শুধু হালকা খাবার খেলেই চলে।
তবে সারাহ গ্যারোনে বলেন, “সকালের খাবারে যথেষ্ট প্রোটিন না থাকলে শরীর দ্রুত ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে। তখন আমরা অপ্রয়োজনে বেশি খেয়ে ফেলি।”
প্রোটিন শুধু পেশি গঠনেই নয়, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
গ্যারোনে পরামর্শ দেন- নাস্তায় বাদামবাটার, ডিম, শিম বা মুরগির সসেজ রাখলে দিনভর শক্তি বজায় থাকবে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমবে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- বাড়তি ওজন
- খাদ্যাভ্যাস